দেওয়ানি কার্যবিধি থেকে সহজে বেশি নাম্বার তোলার পদ্ধতি
শুরুতেই এমসিকিউ পরীক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট আউটলাইন দিতে চাই যে, দেওয়ানি কার্যবিধি থেকে মিনিমাম ১০ থেকে ১২ নম্বর কনফার্ম করা যাবে যদি আপনি দুইটি অংশতে জোরারোপ করে পড়াশোনা করেন। সেই দুইটি অংশ দেখুন হলুদ কালির ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়া আছে। ছকটি মনোযোগ দিয়ে বুঝুন। [ফেসবুক লিংক থেকে ভালো রেজ্যুলেশনের ছবি সেভ করে রাখুন আপনার মোবাইলে]
যা আলোচনা করার আছে উপরের ছকটি নিয়ে তা ছকের ভেতরেই কমবেশি বলে দিয়েছি। বিস্তারিত আলোচনার খুব বেশি কিছু নেই। তবুও কিছু কথার বিস্তার দরকার।
দেওয়ানি কার্যবিধির প্রথম অংশ থেকে বিগত সব সাল মিলে আসা ৮০ টি প্রশ্নের ভেতরে ৩৯টি প্রশ্ন [তথা অর্ধেক প্রশ্ন!] এসেছে শুধু এর প্রাথমিক অংশ থেকে। প্রাথমিক অংশটি বিন্যস্ত আছে বা এর বিস্তৃতি হলো খুব সামান্য একটি অংশ – ধারা ১-৩২ এবং আদেশ ১-৯। অন্য আরো দুইটি অংশ থেকে শতকরা ২৫ ভাগ করে প্রশ্ন এসেছে যার ভেতরে দেওয়ানি আপিল, রিভিউ, রিভিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালো করে বুঝে রাখা দরকার। ফলত, দেওয়ানি কার্যবিধির তৃতীয় অংশ থেকে খুব ভালো করে আপনি পড়াশোনা করবেন। এই অংশের বিস্তৃতি হলো – ধারা ৯৬-১১৫ এবং আদেশ ৪১-৪৭৬ পর্যন্ত।
এরও বাইরে অবশ্য আরো বেশ কিছু ধারা এবং আদেশ বিশেষভাবে পড়ে নিলে ভালো হবে এবং সেগুলো খুবই বেসিক ও অল্প কয়েকটি তথ্যে সাজানো। যেমন, ৮৮ ধারা, ১৪৪ ধারাসহ সরকারের বিরুদ্ধে বা সরকার কর্তৃক দেওয়ানি মোকদ্দমা সম্পর্কে, দেউলিয়া ব্যক্তির মোকদ্দমা [আদেশ ৩৩], দেউলিয়া ব্যক্তির আপিল [আদেশ ৪৪], রায়ের পূর্বে গ্রেফতার ও আটক, অন্তবর্তীকালীন আদেশসমূহ, রিসিভার নিয়োগ [আদেশ ৩৮-৪০], কমিশন সংক্রান্ত ধারা ৭৫ এবং আদেশ ২৬, আদেশ ১৭ [মূলতবি] – এগুলো ভালোভাবে পড়া দরকার। এগুলো সহজও বটে।
এরও বাইরে থেকে গেলো ডিক্রি ও ডিক্রি জারি সংক্রান্ত আরো অনেকগুলো ধারা ও ২০ এবং ২১ নং আদেশ। এগুলো বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর কাছেই জটিল জটিল ঠেকে। আপনি চাইলে সেগুলো বাদও দিতে পারেন। এবং সেগুলো বাদ দিয়েও অন্তত ১০-১২ নাম্বার পাওয়া সম্ভব এবং এমনকি ১৫ নম্বরও উঠে যেতে পারে!
ধন্যবাদ।
নিশ্চিত সাফল্যের জন্য দূরের শিক্ষার্থীগণ
ভর্তি হয়ে সেরা প্রশ্নের মডেল টেস্টগুলো অনুশীলন করুন!
জ্যুসি ল অনলাইনে ভর্তি হতে বা বিস্তারিত
তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন : 01711-140927।