সঠিক উত্তর : আদেশ ৯ এর ১৩ক বিধিমতে ; [আদেশ ৯ : বিধি ১৩ক, দেওয়ানি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে রাখা দরকার। ৯ আদেশের শিরোনাম হলো - ‘পক্ষগণের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির পরিণাম [Appearance of parties and consequence of non-appearance]’। কোনো মোকদ্দমায় বাদী পক্ষ বা বিবাদী পক্ষ অনুপস্থিত হলে মোকদ্দমার বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেমন ধরুন, বাদী মোকদ্দমা করার পরে আর উপস্থিত হলো না। তাহলে উক্ত মোকদ্দমাটি খারিজ [Dismissal of suit] হয়ে যাবে। আবার, বিবাদী পক্ষ যদি যথাযথভাবে সমন পাবার পরেও নির্ধারিত দিনে হাজির না হয় তাহলে মোকদ্দমাটি একতরফাভাবে অগ্রসর করবে আদালত। একতরফা [ex parte] বা একতরফা ডিক্রি [ex parte decree] কী? এর সহজ মানে হলো- আদালতে বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে আদালত কর্তৃক বিচারে অগ্রসর হওয়া। বিবাদী নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির না হলে তখন আদালত শুধু বাদীর বক্তব্যই শ্রবণ করে আদালত সিদ্ধান্ত বা কোনো নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি জারি করেন, তখন সেটা একতরফা ডিক্রি বলে পরিচিত হয়। তার মানে একতরফা ডিক্রি কিন্তু শুধু বাদীর পক্ষে হয়। কিন্তু একতরফা হয়ে গেলেই কিন্তু খেল খতম নয়! এই একতরফা রদকরণের জন্যও পরবর্তী কোনো তারিখে বিবাদী হাজির হয়ে আবেদন করতে পারে। একতরফা ডিক্রি রদকরণ বিষয়ে ৯ আদেশটির বিধি ১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত আলোচনা আছে। বাদীর ত্রুটি বা অনুপস্থিতিতে যেমন বাদীর মোকদ্দমা খারিজ হয়ে যেতে পারে এবং তা রদকরণের আবেদনও করা যায়, তেমনি বিবাদীর ত্রুটি বা অনুপস্থিতির কারণে বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে ডিক্রি বাদীর পক্ষে যেতে পারে এবং সেটাও রদকরণের আবেদন করা যায় নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে। তার মানে, বিধি ১৩ থেকে ১৫ তে একতরফা ডিক্রি রদ করার জন্য বিবাদীর পক্ষে কিছু পদক্ষেপ নেবার সুযোগ দিয়েছে আইন। এর মধ্যে ১৩ক বিধিটির শিরোনাম - ‘একতরফা ডিক্রি সরাসরি রহিতকরণ’। একতরফা ডিক্রি রদ করতে হলে ডিক্রির তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এফিডেভিট সহকারে আবেদন করতে হয় যেখানে অনধিক ৩০০০ টাকা খরচা প্রদানের আদেশও দেবেন বিবাদীকে। অন্যদিকে, বাদীর মোকদ্দমা যদি খারিজ হয়ে যায়, তিনিও চাইলে খারিজ আদেশ সরাসরি রদ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি বলা আছে ৯ক ধারায়। এক্ষেত্রে বাদীকে খারিজের আদেশ হবার ৩০ দিনের মতো এফিডেভিট বা হলফনামাসহ আবেদন করতে হবে এবং আদালত বাদীকে অনধিক ১০০০ টাকা খরচা প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। বস্তুতপক্ষে, এই ৯ আদেশটি অতীব গুরুত্বের সাথে পড়ে রাখা দরকার।]
সঠিক উত্তর : আদেশ ৯ এর ১৩ক বিধিমতে ; [আদেশ ৯ : বিধি ১৩ক, দেওয়ানি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে রাখা দরকার। ৯ আদেশের শিরোনাম হলো - ‘পক্ষগণের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির পরিণাম [Appearance of parties and consequence of non-appearance]’। কোনো মোকদ্দমায় বাদী পক্ষ বা বিবাদী পক্ষ অনুপস্থিত হলে মোকদ্দমার বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেমন ধরুন, বাদী মোকদ্দমা করার পরে আর উপস্থিত হলো না। তাহলে উক্ত মোকদ্দমাটি খারিজ [Dismissal of suit] হয়ে যাবে। আবার, বিবাদী পক্ষ যদি যথাযথভাবে সমন পাবার পরেও নির্ধারিত দিনে হাজির না হয় তাহলে মোকদ্দমাটি একতরফাভাবে অগ্রসর করবে আদালত। একতরফা [ex parte] বা একতরফা ডিক্রি [ex parte decree] কী? এর সহজ মানে হলো- আদালতে বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে আদালত কর্তৃক বিচারে অগ্রসর হওয়া। বিবাদী নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির না হলে তখন আদালত শুধু বাদীর বক্তব্যই শ্রবণ করে আদালত সিদ্ধান্ত বা কোনো নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি জারি করেন, তখন সেটা একতরফা ডিক্রি বলে পরিচিত হয়। তার মানে একতরফা ডিক্রি কিন্তু শুধু বাদীর পক্ষে হয়। কিন্তু একতরফা হয়ে গেলেই কিন্তু খেল খতম নয়! এই একতরফা রদকরণের জন্যও পরবর্তী কোনো তারিখে বিবাদী হাজির হয়ে আবেদন করতে পারে। একতরফা ডিক্রি রদকরণ বিষয়ে ৯ আদেশটির বিধি ১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত আলোচনা আছে। বাদীর ত্রুটি বা অনুপস্থিতিতে যেমন বাদীর মোকদ্দমা খারিজ হয়ে যেতে পারে এবং তা রদকরণের আবেদনও করা যায়, তেমনি বিবাদীর ত্রুটি বা অনুপস্থিতির কারণে বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে ডিক্রি বাদীর পক্ষে যেতে পারে এবং সেটাও রদকরণের আবেদন করা যায় নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে। তার মানে, বিধি ১৩ থেকে ১৫ তে একতরফা ডিক্রি রদ করার জন্য বিবাদীর পক্ষে কিছু পদক্ষেপ নেবার সুযোগ দিয়েছে আইন। এর মধ্যে ১৩ক বিধিটির শিরোনাম - ‘একতরফা ডিক্রি সরাসরি রহিতকরণ’। একতরফা ডিক্রি রদ করতে হলে ডিক্রির তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এফিডেভিট সহকারে আবেদন করতে হয় যেখানে অনধিক ৩০০০ টাকা খরচা প্রদানের আদেশও দেবেন বিবাদীকে। অন্যদিকে, বাদীর মোকদ্দমা যদি খারিজ হয়ে যায়, তিনিও চাইলে খারিজ আদেশ সরাসরি রদ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি বলা আছে ৯ক ধারায়। এক্ষেত্রে বাদীকে খারিজের আদেশ হবার ৩০ দিনের মতো এফিডেভিট বা হলফনামাসহ আবেদন করতে হবে এবং আদালত বাদীকে অনধিক ১০০০ টাকা খরচা প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। বস্তুতপক্ষে, এই ৯ আদেশটি অতীব গুরুত্বের সাথে পড়ে রাখা দরকার।]