সঠিক উত্তর : ১০,০০০ টাকা ; [ধারা : ৩২, ফৌজদারি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : ‘ম্যাজিস্ট্রেটগণ যে সকল দণ্ড দিতে পারবেন’ - শিরোনামে এই কার্যবিধির ৩২ ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট [একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট] অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা করতে পারবেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা করতে পারবেন। তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এই একটি ধারাতেই সকল প্রকার ম্যাজিস্ট্রেটদের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতার উল্লেখ আছে। এই ধারাটির উছিলায় আমরা ৩৩ ধারাটিও স্মরণ করতে পারি। এর শিরোনাম - ‘জরিমানা অনাদায়ে দণ্ড প্রদান করতে ম্যাজিস্ট্রেটগণের ক্ষমতা’। সাধারণভাবে আমরা দণ্ডবিধির ৬৫ ধারা মোতাবেক জানি যে, জরিমানা অনাদায়ে যে দণ্ড প্রদান করা হয়, তা মূল অপরাধের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের ৪ ভাগের ১ ভাগ হতে পারে সর্বোচ্চ। তাহলে ধরা যাক, একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কোনো আসামিকে তার এখতিয়ারের সর্বোচ্চ দণ্ড তথা ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিলেন। এখন উক্ত জরিমানার অর্থ অনাদায়ে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আরো ১ বছর ৩ মাসের [৫ বছরের এক চতুর্থাংশ হিসেব করে] শাস্তি দিতে পারেন যা কিনা ঐ মূল কারাদণ্ডের সাথে যোগ হবে। তো, এভাবে যোগ হলে কিন্তু একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মূলত উক্ত ৫ বছর এবং সাথে আরো সোয়া ১ বছর তথা মোট ৬ বছর ৩ মাসের দণ্ডভোগের আদেশ দিলেন, যা কিনা সাধারণভাবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের বাইরে। কিন্তু ৩৩ ধারায় এটিই বরং বলা আছে যে, জরিমানা অনাদায়ে দণ্ড প্রদানের কারণে যদি সর্বোচ্চ শাস্তির এখতিয়ার অতিক্রম করে যায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই।]
সঠিক উত্তর : ১০,০০০ টাকা ; [ধারা : ৩২, ফৌজদারি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : ‘ম্যাজিস্ট্রেটগণ যে সকল দণ্ড দিতে পারবেন’ - শিরোনামে এই কার্যবিধির ৩২ ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট [একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট] অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা করতে পারবেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা করতে পারবেন। তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এই একটি ধারাতেই সকল প্রকার ম্যাজিস্ট্রেটদের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতার উল্লেখ আছে। এই ধারাটির উছিলায় আমরা ৩৩ ধারাটিও স্মরণ করতে পারি। এর শিরোনাম - ‘জরিমানা অনাদায়ে দণ্ড প্রদান করতে ম্যাজিস্ট্রেটগণের ক্ষমতা’। সাধারণভাবে আমরা দণ্ডবিধির ৬৫ ধারা মোতাবেক জানি যে, জরিমানা অনাদায়ে যে দণ্ড প্রদান করা হয়, তা মূল অপরাধের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের ৪ ভাগের ১ ভাগ হতে পারে সর্বোচ্চ। তাহলে ধরা যাক, একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কোনো আসামিকে তার এখতিয়ারের সর্বোচ্চ দণ্ড তথা ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিলেন। এখন উক্ত জরিমানার অর্থ অনাদায়ে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আরো ১ বছর ৩ মাসের [৫ বছরের এক চতুর্থাংশ হিসেব করে] শাস্তি দিতে পারেন যা কিনা ঐ মূল কারাদণ্ডের সাথে যোগ হবে। তো, এভাবে যোগ হলে কিন্তু একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মূলত উক্ত ৫ বছর এবং সাথে আরো সোয়া ১ বছর তথা মোট ৬ বছর ৩ মাসের দণ্ডভোগের আদেশ দিলেন, যা কিনা সাধারণভাবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের বাইরে। কিন্তু ৩৩ ধারায় এটিই বরং বলা আছে যে, জরিমানা অনাদায়ে দণ্ড প্রদানের কারণে যদি সর্বোচ্চ শাস্তির এখতিয়ার অতিক্রম করে যায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই।]