সঠিক উত্তর : জেরার সময় ; [ধারা : ১৪৩, সাক্ষ্য আইন। রিমাইন্ডার : অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ধারাটি পড়ার সময় অনেকেই বিষয়টি স্কিপ করে যান। উপরোক্ত প্রশ্নটির জন্য মূল ধারাটির দ্বিতীয় প্যারাটি পড়–ন আবার - “যে সকল বিষয় পরিচয়মূলক, কিংবা অবিসংবাদিত, কিংবা যে বিষয় পূর্বেই যথেষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া আদালত মনে করেন, সেই সকল বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করিবার অনুমতি আদালত অবশ্যই দিবেন [The Court shall permit leading questions as to matters which are introductory or undisputed, or which have, in its opinion, been already sufficiently proved.]।” কখন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করা যায় আর কখন করা যায়না - এনিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীগণ মাথা গুলিয়ে ফেলেন। এটি মনে রাখার জন্য প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দেই যে, ১৪১ ধারায় ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন এর সংজ্ঞা, ১৪২ ধারায় কখন এমন প্রশ্ন করা যায় না এবং ১৪৩ ধারায় কখন এমন প্রশ্ন করা যায় সেটা বলা আছে। ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে এই তিনটি ধারাই আছে সাক্ষ্য আইনে। দ্বিতীয়ত, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ক্ষেত্রেই, অর্থাৎ জবানবন্দি, জেরা এবং পুন:জবানবন্দি - এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন প্রকৃতপক্ষে করা চলে। তবে, জবানবন্দি এবং পুন:জবানবন্দির সময় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে হয় এবং সাথে এটিও মনে রাখতে হবে যে, স্বীকৃত বিষয় নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করা যায় এই দুই ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এটি মূলত ১৪২ ধারার বিষয়বস্তু। অন্যদিকে ১৪৩ ধারায় বলাই আছে যে, জেরার সময় ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নে কোনো বাধাই নেই।]
সঠিক উত্তর : জেরার সময় ; [ধারা : ১৪৩, সাক্ষ্য আইন। রিমাইন্ডার : অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ধারাটি পড়ার সময় অনেকেই বিষয়টি স্কিপ করে যান। উপরোক্ত প্রশ্নটির জন্য মূল ধারাটির দ্বিতীয় প্যারাটি পড়–ন আবার - “যে সকল বিষয় পরিচয়মূলক, কিংবা অবিসংবাদিত, কিংবা যে বিষয় পূর্বেই যথেষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া আদালত মনে করেন, সেই সকল বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করিবার অনুমতি আদালত অবশ্যই দিবেন [The Court shall permit leading questions as to matters which are introductory or undisputed, or which have, in its opinion, been already sufficiently proved.]।” কখন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করা যায় আর কখন করা যায়না - এনিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীগণ মাথা গুলিয়ে ফেলেন। এটি মনে রাখার জন্য প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দেই যে, ১৪১ ধারায় ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন এর সংজ্ঞা, ১৪২ ধারায় কখন এমন প্রশ্ন করা যায় না এবং ১৪৩ ধারায় কখন এমন প্রশ্ন করা যায় সেটা বলা আছে। ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে এই তিনটি ধারাই আছে সাক্ষ্য আইনে। দ্বিতীয়ত, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ক্ষেত্রেই, অর্থাৎ জবানবন্দি, জেরা এবং পুন:জবানবন্দি - এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন প্রকৃতপক্ষে করা চলে। তবে, জবানবন্দি এবং পুন:জবানবন্দির সময় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে হয় এবং সাথে এটিও মনে রাখতে হবে যে, স্বীকৃত বিষয় নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করা যায় এই দুই ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এটি মূলত ১৪২ ধারার বিষয়বস্তু। অন্যদিকে ১৪৩ ধারায় বলাই আছে যে, জেরার সময় ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নে কোনো বাধাই নেই।]