সঠিক উত্তর : ৫৮ ধারায় ; [ধারা : ৫৮, সাক্ষ্য আইন। রিমাইন্ডার : সাক্ষ্য আইনের তৃতীয় অধ্যায়ে ৫৬, ৫৭ ও ৫৮ ধারায় যে সকল বিষয় প্রমাণের প্রয়োজন নেই সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই ধারাটির উছিলায় আমরা আরো কিছু বাড়তি তথ্য জেনে রাখতে পারি। সাধারণভাবে একটি তথ্য বা বিষয় যা কিনা আরজিতে উল্লেখ করা হয়, তা যদি মামলার প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে স্বীকৃত বিষয় হয়ে থাকে তবে তা নতুন করে প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। অনেক ক্ষেত্রে আসামি কর্তৃক অনেক বিষয়ের মধ্যে কোনো একটি বিষয়ের স্বীকৃতি দিয়ে থাকলে সেটাও আলাদা করে প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। তার মানে, একপক্ষের দাবিকৃত কোনো বিষয় যদি মামলায় অন্য পক্ষ কর্তৃক কোনোভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে তবে তার আর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না। মোদ্দাকথা, স্বীকৃত কোনো বিষয় নিয়ে আদালতে প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়ে না।
আরেকটু সহজ উদাহরণে যাবো নাকি? ধরুন, একজন তার স্বামীর বিরুদ্ধে তার নিজের ও সন্তানের খোরপোষ দাবিতে একটি নালিশী মামলা করলো আদালতে। এই মামলা করার সময় আরজিতে ঘটনার বর্ণনায় যা যা বলবেন উক্ত ফরিয়াদি, তার সবই কিন্তু স্বীকৃতি। আরজির সাথে উক্ত পুরুষ লোকটি, যাকে স্বামী বলে দাবি করা হচ্ছে এবং ফলে যার কাছে খোরপোষ দাবি করা হচ্ছে, তার সাথে যে উক্ত ফরিয়াদির বিয়ে হয়েছিলো এটার প্রমাণস্বরূপ তাকে অবশ্যই তার বিয়ের কাবিননামা ও অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো সবই স্বীকৃতি, যা কিনা ৫৮ ধারার ভাষায় স্বীকৃত বিষয়; এবং এটা আদালতে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই।
আবার যদি, উক্ত স্বামী আদালতে হাজির হয়ে বলে যে, আমি তার স্বামী নই! তাহলে মামলার বিচার্য বিষয়ে নতুন বিষয় হাজির হবে যে, উক্ত বাদী-বিবাদী পরস্পর বিবাহিত কিনা। যাইহোক, আমরা ধরে নিলাম, সেরকম কিছু ঘটেনি বা উক্ত বিবাদী সেরকম কোনো দাবি করেনি। কিন্তু বিবাদী তার জবাবে ফরিয়াদির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বললো যে, তিনি নিয়মিত খোরপোষ দিয়ে আসছেন এবং তা পর্যাপ্ত আকারেই দিয়ে আসছেন।
তার মানে বিবাদী এখানে প্রচ্ছন্নভাবে নিজেকে উক্ত স্ত্রীলোকের বা ফরিয়াদির স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন কিন্তু। এই স্বীকৃতির কারণে এটি প্রমাণ করার কোনোই প্রয়োজন নেই যে, তারা স্বামী স্ত্রী। তবে খোরপোষ বিষয়ে বিরোধটি থেকে গেলো যা কিনা এই মামলার বিচার্য বিষয়। খোরপোষ বিষয়ে তার অস্বীকৃতি থেকে উদ্ভূত বিরোধটিই এখন বিচার্য বিষয় এবং একইসাথে প্রমাণেরও বিষয়। ক্লিয়ার?]
সঠিক উত্তর : ৫৮ ধারায় ; [ধারা : ৫৮, সাক্ষ্য আইন। রিমাইন্ডার : সাক্ষ্য আইনের তৃতীয় অধ্যায়ে ৫৬, ৫৭ ও ৫৮ ধারায় যে সকল বিষয় প্রমাণের প্রয়োজন নেই সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই ধারাটির উছিলায় আমরা আরো কিছু বাড়তি তথ্য জেনে রাখতে পারি। সাধারণভাবে একটি তথ্য বা বিষয় যা কিনা আরজিতে উল্লেখ করা হয়, তা যদি মামলার প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে স্বীকৃত বিষয় হয়ে থাকে তবে তা নতুন করে প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। অনেক ক্ষেত্রে আসামি কর্তৃক অনেক বিষয়ের মধ্যে কোনো একটি বিষয়ের স্বীকৃতি দিয়ে থাকলে সেটাও আলাদা করে প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। তার মানে, একপক্ষের দাবিকৃত কোনো বিষয় যদি মামলায় অন্য পক্ষ কর্তৃক কোনোভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে তবে তার আর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না। মোদ্দাকথা, স্বীকৃত কোনো বিষয় নিয়ে আদালতে প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়ে না।
আরেকটু সহজ উদাহরণে যাবো নাকি? ধরুন, একজন তার স্বামীর বিরুদ্ধে তার নিজের ও সন্তানের খোরপোষ দাবিতে একটি নালিশী মামলা করলো আদালতে। এই মামলা করার সময় আরজিতে ঘটনার বর্ণনায় যা যা বলবেন উক্ত ফরিয়াদি, তার সবই কিন্তু স্বীকৃতি। আরজির সাথে উক্ত পুরুষ লোকটি, যাকে স্বামী বলে দাবি করা হচ্ছে এবং ফলে যার কাছে খোরপোষ দাবি করা হচ্ছে, তার সাথে যে উক্ত ফরিয়াদির বিয়ে হয়েছিলো এটার প্রমাণস্বরূপ তাকে অবশ্যই তার বিয়ের কাবিননামা ও অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো সবই স্বীকৃতি, যা কিনা ৫৮ ধারার ভাষায় স্বীকৃত বিষয়; এবং এটা আদালতে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই।
আবার যদি, উক্ত স্বামী আদালতে হাজির হয়ে বলে যে, আমি তার স্বামী নই! তাহলে মামলার বিচার্য বিষয়ে নতুন বিষয় হাজির হবে যে, উক্ত বাদী-বিবাদী পরস্পর বিবাহিত কিনা। যাইহোক, আমরা ধরে নিলাম, সেরকম কিছু ঘটেনি বা উক্ত বিবাদী সেরকম কোনো দাবি করেনি। কিন্তু বিবাদী তার জবাবে ফরিয়াদির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বললো যে, তিনি নিয়মিত খোরপোষ দিয়ে আসছেন এবং তা পর্যাপ্ত আকারেই দিয়ে আসছেন।
তার মানে বিবাদী এখানে প্রচ্ছন্নভাবে নিজেকে উক্ত স্ত্রীলোকের বা ফরিয়াদির স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন কিন্তু। এই স্বীকৃতির কারণে এটি প্রমাণ করার কোনোই প্রয়োজন নেই যে, তারা স্বামী স্ত্রী। তবে খোরপোষ বিষয়ে বিরোধটি থেকে গেলো যা কিনা এই মামলার বিচার্য বিষয়। খোরপোষ বিষয়ে তার অস্বীকৃতি থেকে উদ্ভূত বিরোধটিই এখন বিচার্য বিষয় এবং একইসাথে প্রমাণেরও বিষয়। ক্লিয়ার?]