অনলাইন জুম ক্লাসে

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

২৪ জুন থেকে শুরু

তথ্য জানতে / ভর্তি হতে : 01309-541565

বার কাউন্সিল পরীক্ষা (প্রিলি/এমসিকিউ) পাশের সহজ টিপস

এ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম

[এই লেখাটি নবীন আইনজীবী এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন। তাঁর লেখার হাত বেশ ভালো। আমরা তাঁর লেখা বার কাউন্সিল পরীক্ষার্থীদের জন্য এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত। আশা করি বার কাউন্সিল পরীক্ষা সংক্রান্ত নানারকম পরামর্শমূলক লেখাগুলোর মাঝে এই লেখাটিও আপনাদের কাজে দেবে ভীষণ।]

যারা আসন্ন এমসিকিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা প্রস্ততির বিষয়সমূহকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করে নিয়ে প্রস্ততি নিতে থাকলে একটা বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ উপায় আমি অবলম্বন করেছিলাম। বার কাউন্সিল পরীক্ষার সিলেবাসে থাকা বিষয়গুলোকে A এবং B এই দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিন। মূল কথা হলো, সিলেবাসে থাকা সাতটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি বিষয়ের ব্যাপ্তি অনেক বড় এবং বাকী চারটি বিষয়ের ব্যাপ্তি তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট।

১. অর্থাৎ সিপিসি, সিআরপিসি ও দণ্ডবিধি এই তিনটি সাবজেক্টের ব্যাপ্তি অনেক বড় এবং এর থেকে প্রশ্ন আসবে ৬০ মার্কস এর। এই বড় তিনটিকে ধরে নিন A ক্যাটেগরি।

২. অন্যদিকে সাক্ষ্য আইন, তামাদি আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বার কাউন্সিল অর্ডার এই বিষয়গুলোর ব্যাপ্তি খুবই ছোট। এই ছোট সাবজেক্টগুলোকে ধরে নিন B ক্যাটেগরি।

৩. B ক্যাটেগরির এই চারটি সাবজেক্ট মিলে A ক্যাটেগরির একটা সাবজেক্টের এর চেয়ে ছোট। এগুলো থেকে প্রশ্ন আসবে ৪০ মার্কস এর। B ক্যাটেগরির সবগুলো সাবজেক্ট এর সেকশন ও অনুচ্ছেদ সংখ্যা মাত্র ২৯৯ টি অন্যদিকে A ক্যাটেগরির শুধুমাত্র সিআরপিসি এর সেকশন সংখ্যা ৫৬৫। এবার এই দুই ক্যাটেগরির ব্যাপ্তির পার্থক্য আপনি সহজেই বুঝে নিন।

৪. পাশ করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে B ক্যাটেগরির এই ছোট ব্যাপ্তির চারটি সাবজেক্ট এর ৪০ মার্কস। এই চারটি সাবজেক্টই শুরুতে পড়া উচিত এবং এ টু জেড অত্যন্ত নির্ভুলভাবে পড়া উচিত। লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে করে এই ৪০ মার্কস এর মধ্যে অন্ততপক্ষে যেন ৩০ মার্কস নিশ্চিতভাবে পরীক্ষায় পাওয়া যায়। পাশ মার্কস পেতে আপনার আরও দরকার হবে মাত্র ২০ মার্কস যা তুলতে হবে ওই A ক্যাটেগরির বড় ব্যাপ্তির তিনটি আইনের ৬০ মার্কস এর মধ্য থেকে। এ কাজটি আপনার জন্য খুবই সহজ হবে বলেই মনে করি।

৫. B ক্যাটেগরির ছোট আকারের আইনগুলো খুব ভালভাবে মগজে ও মননে স্থান দিয়ে আত্মস্থ করতে পারলে এবং এখান থেকে ৩০ মার্কস তুলে নিতে পারলে আপনার পাশ করার সম্ভাবনা বহু গুণে তরান্বিত হবে। খুব সহজেই আপনি A ক্যাটেগরি থেকে আরও ২০ মার্কস তুলে নিয়ে সেফ জোনে স্থান করে নিতে পারবেন।

আমি এ প্রক্রিয়ায় পড়েছি এবং এ উপায় আমার ক্ষেত্রে বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি আমার সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের জন্য এই নির্দেশনামূলক লেখাটি লিখেছি। এই লেখায় একান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনারা চাইলে আরও অভিনব কোন উপায় বেড় করে তা অনুসরণ করতে পারেন।

শেষকথা :  যেহেতু B ক্যাটেগরির চারটি সাবজেক্ট মিলে A ক্যাটেগরির একটি সাবজেক্ট এর চেয়েও ছোট সুতরাং আপনি যদি B ক্যাটেগরির সবগুলো সাবজেক্ট খুব ভালভাবে পড়ে নেন এবং ত্রিশ কিংবা তার অধিক মার্কস এখান থেকে তুলতে পারেন তাহলে আপনার পাশ করা অনেক সহজ হবে। তবে, আমার এই লেখার মানে এই নয় যে, আপনি A ক্যাটেগরির সাবজেক্টগুলো ভালভাবে পড়বেন না। অবশ্যই সেগুলোও পড়বেন অত্যন্ত ভালভাবে। আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে, B ক্যাটেগরির সাবজেক্টগুলো শুরুতে এবং অধিক গুরুত্বের সাথে পড়বেন। এগুলোই আপনার প্রিলি বা এমসিকিউ পাশ করার একটা জাদুকরী টোটকা হিসেবে কাজ করবে বলে আমার মনে হয়।



[লেখকের ফোন নাম্বার : 01744-888538। বার কাউন্সিল প্রস্তুতি সংক্রান্ত আরেকটি জরুরি লেখা পাবেন এই লিংকে।]



বার কাউন্সিল এমসিকিউ প্রস্তুতি নিয়ে দিশেহারা?

ভর্তি হোন এই অনলাইনে

আইনের ধারাপাত ও চিরুনি অভিযান নামে দুইটি দূর্দান্ত বই সাথে ফ্রি ডেলিভারি!!

ভর্তি তথ্য : 01712-908561