How to read CrPC [Part - 3]
ফৌজদারি কার্যবিধির তৃতীয় অংশে আমরা এর ষষ্ঠ ভাগ রেখেছি, যা কিনা ১৭৭-৪০৩ ধারা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অংশে ফৌজদারি একটি আদালত কীভাবে কাজ করবে তার পদ্ধতিগত অংশটুকু আছে। মূলত এই অংশটিই কার্যবিধির প্রাণ। সূচনামূলক এই লেখাটি কাজে দেবে আশা করি।
ফৌজদারি কার্যবিধি কীভাবে পড়বেন : তৃতীয় অংশ [ধারা ১৭৭-৪০৩]
এবারে আমরা আমাদের পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির তৃতীয় অংশে এলাম। এটি ফৌজদারি কার্যবিধির ষষ্ঠ ভাগ। এই ষষ্ঠ ভাগে ধারার বিস্তৃতি ১৭৭-৪০৩। এর ভেতরে অধ্যায় রয়েছে ১৫টি! মানে বিশাল এক ভাগ। কিন্তু ফৌজদারি বা দায়রা ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোর কার্যপদ্ধতির আসল বা প্রকৃত বর্ণনা পাওয়া যায় এই অংশেই। অনেকের কাছে এটা কঠিন লাগে কেননা তারা মূলত এতগুলো অধ্যায় ও টপিকের ভেতরে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন। কিন্তু নিজেই যদি প্রশ্ন ছুড়ে দেন নিজের দিকে, যেমন – ফৌজদারি আদালতের গঠন পড়ে যে সমস্ত আদালতের পরিচয় জানলেন তাদের কাজ কেন পৃথক, তারা কী কী পৃথক কাজগুলো করেন, সেই সমস্ত আদালত কোন কাজের পর কোন কাজ করেন, রায় তারা কীভাবে দেন, যুক্তিতর্ক তারা কীভাবে শোনেন, একটি দণ্ড বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী তাহলে এতো বিশাল অংশ পড়তেও আপনার কাছে রোমাঞ্চকর লাগার কথা।
এটা ঠিক যে, সবকিছু আপনি শুধু থিওরি পড়ে পড়ে মনের ভেতরে ভালোভাবে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারবেন না, কিন্তু যদি আগ্রহ থাকে তবে পুরো ধারাবাহিক দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে উঠবেই। আর যদি শিক্ষানবিশ হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়রের সাথে আদালতে মিনিমাম ম্যুভ করার অভ্যস্ততা থাকে তাহলেতো কথাই নেই। তখন সেইসব বাস্তব দৃশ্যই এই অধ্যায়গুলো পড়তে পড়তে কানেক্টেড হয়ে যাবে। তো, আবারো একটি ছক মনোযোগ দিয়ে দেখার পেইন নেবেন নাকি? প্লিজ, জাস্ট প্রসিড!
আবারো বলি, এর বিস্তৃতি দেখে ভড়কাবেন না। মাথা খাটিয়ে দেখুন যে, আদালতের কার্যপদ্ধতি কীভাবে এগোবে এগুলোই কমবেশি বলা আছে ধারাবাহিকভাবে। কোন অধ্যায় থেকে কী কী গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন এবার সে প্রসঙ্গে আসি।
১. একটি ফৌজদারি আদালতের স্থানীয় এখতিয়ার এর প্রথম টপিক। ‘অনুসন্ধান ও বিচারের স্থান’ – এর একটি উপশিরোনাম। ১৭৭ থেকে ১৮৯। এই ধারাগুলোতে ভেঙে ভেঙে দেখলে দেখবেন মূল নীতি এর একটাই – একাধিক জায়গায় অপরাধ ঘটলেও অপরাধের কোনো একটি অংশ যেখানে ঘটেছে সেইখানকার আদালত অপরাধটির বিচার করতে পারবে, এতে বিন্দুমাত্র বাধা নেই। অর্থাৎ অপরাধের শুরু, অংশ এবং শেষ এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলে এই তিনটি আলাদা স্থানের আদালত প্রত্যেকেই সেটার বিচার করতে পারবে।
১৭৯, ১৮৫ এবং ১৮৬ ভালোভাবে পড়ুন। মূল বইয়ে আদালতের স্থানীয় এখতিয়ার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আমলী আদালত ও বিচারিক আদালত নিয়ে ছোট্ট একটি আলোচনা ছিলো। সেই আলোচনাটি আপনাদের সামান্য উপকারে দিতে পারে বিধায় নিচে তুলে দিলাম। মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত আলোচনায়ও ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ।
“…এই ফাঁকে একটা ছোট্ট জিনিস জেনে বুঝে রাখি। কগনিজেন্স কোর্ট [Cognizance Court] এবং ট্রায়াল কোর্ট [Trial Court] নামে দুইটি শব্দ কোর্টে যাওয়া আসা করতে থাকলে শোনার কথা। এর মানে কী? আমরাতো আগে আদালতের ধরন পড়ে এসেছি। আমরা আরো জানি যে, প্রতিটি কোর্টেরই আলাদা আলাদা কর্মপরিধি বা এখতিয়ার উল্লেখ করা আছে আইনে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাধারণত কোনো একটি অপরাধ আমলে নিতে পারে। তো এই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট যখন কোনো অপরাধ আমলে নেয় তখন সেটাকে আমলী আদালত [Cognizance Court] বলতে পারেন। সেই আমলী আদালত যেই অপরাধটি আমলে নিলেন সেই অপরাধটা বা সেই মামলাটা নিজেই বিচার করতে পারেন অথবা সেই মামলাটা বিচার করার জন্য অন্য কোনো আদালতে পাঠাতে পারেন। যিনি আমলে নিলেন তিনিই কগনিজেন্স কোর্ট [Cognizance Court] আর যিনি বিচার করলেন তিনিই ট্রায়াল কোর্ট [Trial Court]। অনেক ক্ষেত্রে যিনি আমলে নিলেন তিনিই বিচার করতে পারেন। তখন কগনিজেন্স কোর্ট এবং ট্রায়াল কোর্ট অর্থ একই বিচারক বা একই আদালত। সাধারণত কোনো এক জায়গার চিফ জুডিসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার অধস্তনে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দিষ্ট করে দেন যে কারা কারা বা কোন কোন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আমলী আদালত হবে, আর কোন কোন আদালত ট্রায়াল কোর্ট হবে। ধারা ১৬ এবং ধারা ২১ এই বিষয়ে চিফদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। ধারা দুইটি এখনই একবার দেখে আসলে খাসা হবে কিন্তু! প্লিজ!!
অনেক সময় দেখবেন আইনে লেখা থাকে, যেমন ১৮৬ ধারায় ‘…. এরূপ অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচারের জন্য এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তাকে প্রেরণ করতে পারবেন…’ – এর মানে হলো কেউ কগনিজেন্স বা আমলী আদালতের দায়িত্বে আছেন এবং তিনি ট্রায়াল কোর্ট বা বিচার আদালতে বিচারের জন্য তা পাঠাবেন। ১৮৬ ধারাটি আবার পড়ে নেন!….” [পৃষ্ঠা ৩১৫-৩১৬, একটি চিরুনি অভিযান – এমসিকিউ পর্ব]।
২. এদিকে ১৯০ থেকে ১৯৯খ পর্যন্ত আরেকটি জরুরি বিষয় আলোচিত হয়েছে। এর ১৯০ থেকে ১৯৩ ধারার প্রতিটি ধারাই ঠোটস্থ রাখা উচিত বুঝে বুঝে। এখানেও উপরে বর্ণিত আমলী ও বিচারিক আদালতের ধারণাটি আরো বেশি কাজে দেবে।
১৯০ এর ১ এর ক, খ এবং গ তে ম্যাজিস্ট্রেট যেই ৩ ভাবে মামলা আমলে নিতে পারেন তা বর্ণিত আছে। এই ধারার ৩ উপধারায় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরও অপরাধ আমলে নেবার ক্ষমতার কথা বলা আছে যেটি সাধারণভাবে ঘটেনা। এটাও মনে রাখা জরুরি। ১৯১, ১৯২ ও ১৯৩ ধারাও ভালোভাবে পড়ে রাখুন।
তবে অতি সম্প্রতি প্রিয়া সাহা’র ঘটনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা বিষয়ক আলোচনা উঠে এসেছে। এই ধরনের মামলা করতে গেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারাটি অনুসরণ করতে হয়। এরকমভাবে, মানহানির মামলা করতে গেলে অথবা বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে অথবা দণ্ডবিধিতে বর্ণিত আরো কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা করার পদ্ধতি কী হবে সে সম্পর্কে বলা আছে ১৯৫ ধারা থেকে ১৯৯খ ধারা পর্যন্ত। প্রিয়া সাহা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তি আকারে এই ধারাগুলোও পড়ে যাওয়া উচিত। নেক্সট পরীক্ষার জন্য এসব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ‘ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশ’ শিরোনামে মাত্র ৪টি ধারা, ২০০ থেকে ২০৩। খুবই জরুরি এর প্রতিটি ধারা। মাজিস্ট্রেটের কাছে নালিশ হলেই ‘ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রমের শুরু’ হয়ে যায় এবং এই শিরোনামেই ২০৪ থেকে ২০৫ঘ পর্যন্তও সমানভাবে জরুরি। এখানে বাদ দেওয়া যাবে না কোনোকিছুই।
৪. ‘ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রমের শুরু’ হয় পরোয়ানা ইস্যু ও সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে মামলা হস্তান্তর এর মধ্য দিয়ে। এর পরে কী? এবার বিচারিক আদালত তার বিচারের কাজকে অগ্রসর করবেন। কিন্তু বিচারের কাজকে অগ্রসর করতে চাইলে ‘অভিযোগ’ বা ‘চার্জ’ গঠন করতে হয়। এই অভিযোগ গঠনের সাধারণ তাত্ত্বিক ভিত্তি বা সাধারণ নীতি থাকা দরকার। আর সেই প্রয়োজনটিই মিটিয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ১৯, যার বিস্তুতি ২২১ থেকে ২৪০ ধারা পর্যন্ত। এখান থেকে ২২১, ২২২, ২২৫, ২২৭, ২৩৩, ২৩৪, ২৩৫ এবং ২৪০ ধারা কয়েকটি ভালোভাবে দেখতে হবে।
৫. অধ্যায় ২০ এ ২৪১ থেকে ২৫০ ধারা পর্যন্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলার বিচার’ এবং অধ্যায় ২৩ এ ২৬৫ক থেকে ২৬৫ঠ ধারা পর্যন্ত ‘দায়রা আদালতে বিচার’ শিরোনামে যে ধারাগুলো এনগেজ আছে সেগুলো একসাথে পড়ে নেওয়া ভালো। কেননা, এই দুই অধ্যায়ে দুইটি ভিন্ন ক্যাটেগরির আদালতের বিচারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার ধারাবাহিক পদ্ধতি আলোচনা করা আছে। এই দুই অধ্যায়ের মিল অমিলগুলো দেখলে মজাই পাবেন। এগুলোর প্রতিটি ধারাই জরুরি এবং সহজও বটে; একদম পানির মতো সহজ। একেবারে ধারাবাহিক বর্ণনা আছে, ফলে ধারা ধরে মনে রাখাও কঠিন কিছু নয়। অধ্যায় ২০ থেকে কিন্তু অনেক প্রশ্ন আসে। ২৫০ ধারায় তুচ্ছ মামলা বিষয়ে বলা আছে। বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না ভুলেও। মূল বইয়ে ২০ অধ্যায়ের একটি সংক্ষিপ্তসার করে দেওয়া ছিলো। আপনাদের জন্য সেটা এখানে তুলে দিলাম। কাজে লাগতে পারে।
“… ম্যাজিস্ট্রেট যদি যাবতীয় কাগজপত্রাদি বিবেচনা করে এবং ফরিয়াদি ও আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে নালিশকারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করেন, তবে সেই কারণ লিপিবদ্ধ করে আসামিকে অব্যাহতি দিতে পারেন [২৪১ ক]। আবার সব কিছু দেখে শুনে যদি মনে হয় আসামি এই অপরাধের সাথে জড়িত তবে তিনি মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন করবেন এবং আসামিকে জিজ্ঞেস করবেন যে সে এই অপরাধ স্বীকার করে কিনা [২৪২ ধারা]? আসামি যদি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তাহলে তাকে কেন উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলবেন, তার জবাবের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে প্রয়োজনীয় দণ্ড দেবেন [২৪৩ ধারা]। আবার আসামি যদি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার না করে তবে বাদী ও আসামির সমস্ত সাক্ষী শুনবেন তার রায় দেওয়ার বা বিচার করবার জন্য [২৪৪ ধারা]। সমস্ত সাক্ষী শুনে ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন আসামি নির্দোষ, তবে আসামিকে খালাস দেবেন নতুবা আসামি দোষী প্রতীয়মান হলে তাকে আইন অনুসারে শাস্তি প্রদান করবেন [২৪৫ ধারা]। নালিশকারী যদি আসামির হাজিরার দিনে আদালতে হাজির না থাকে তবে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে খালাস দিতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে নালিশকারী সরকারি কর্মচারী হলে তাকে হাজিরা থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে মামলা অগ্রসর হতে থাকবে [২৪৭ ধারা]। নালিশকারী অনেক সময় তার অভিযোগ বা নালিশ প্রত্যাহার করে নিতে চায়, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ সাপেক্ষে ও আইনে যদি বাধা না থাকে তবে ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারীকে মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেবেন ও আসামিকে খালাস দেবেন [২৪৮ ধারা]। নালিশকারী না থাকলে মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে আসামিকে মুক্তি দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট [২৪৯ ধারা]।
এটা প্রায় একটা ‘কি হইলে কি হইবে’ টাইপ গল্প। সহজ আশা করি।” [পৃষ্ঠা : ৩১৫-৩১৬, একটি চিরুনি অভিযান – এমসিকিউ পর্ব]।
৬. ২৫০ ধারায় তুচ্ছ মামলা নিয়ে আলোচনা ছিলো; তবে এরকম আরো একটি ইস্যু আছে ‘সংক্ষিপ্ত বিচার’ শিরোনামে। ২৬০ থেকে ২৬৫ পর্যন্ত, অধ্যায় ২২। ধারণাটি একবার বুঝে নিলেই হয় কিন্তু। ২৫০ আর ২৬০। এই দুইটি স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানডে ক্রিকেট স্কোর আকারে মনে রাখুন। 🙂
৭. অধ্যায় ২৪ ও ২৫ এর শিরোনাম যথাক্রমে ‘অনুসন্ধান ও বিচারের সাধারণ বিষয়বসমূহ’ এবং ‘অনুসন্ধান ও বিচারের সময় সাক্ষ্য গ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি’। এগুলো বিস্তৃত আছে ৩৩৭ থেকে ৩৬৫ পর্যন্ত। বিচার করার সময় কিছু সাধারণ নীতি আছে, কিছু ব্যতিক্রম আছে, বিচারের সময় যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় তার লিপিবদ্ধকরণের কিছু নীতি বা সাধারণ বিধানসমূহ এই অংশের ধারাগুলোতে আছে। এগুলো নিয়ে সারসংক্ষেপ করা কঠিন অল্প কথায়। কেননা, অনেক বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন টপিক আছে এখানে। তবে গুরুত্ব দিয়ে যে ধারাগুলো জোর দিয়ে পড়া দরকার সেগুলো হলো – ৩৩৭, ৩৩৯খ, ৩৩৯গ, ৩৪০, ৩৪৪, ৩৪৫, ৩৫৩, ৩৫৪, ৩৫৭, ৩৬৩, ৩৬৪ ও ৩৬৫। দেখবেন বারংবার।
৮. এরপর ৩৬৬ ধারা থেকে ৪০৩ পর্যন্ত রায়, দণ্ড অনুমোদনের জন্য পেশ, দণ্ড কার্যকরীকরণ, দণ্ড স্থগিত, মওকুফ বা রদবদল ইত্যাদি প্রসঙ্গ। ২৬ থেকে ৩০ অধ্যায়। এগুলো থেকে প্রশ্ন বিশেষ আসেনা। তবুও পড়ে যেতে হবে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যেগুলো পড়বেন – ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৭১, ৩৭৪, ৩৮২, ৩৯৯, ৪০১, ৪০২ ও ৪০৩। ৪০৩ ধারাটি কিন্তু খুব বিখ্যাত একটি ধারা।