অনলাইন জুম ক্লাসে

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

২৪ জুন থেকে শুরু

তথ্য জানতে / ভর্তি হতে : 01309-541565

আইনকানুন প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত বই ‘আইনের ধারাপাত’ বইটির সাধারণ একটি পরিচিতি নিচের পিডিএফ ফাইলে আছে। উল্লেখ্য, বাজারে এটিই সর্বপ্রথম ও একমাত্র রিভিশনাল বুক। এই বইটি বার কাউন্সিল ভাইভা এবং এমসিকিউ পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি এসেনশিয়াল বা অতীব প্রয়োজনীয় একটি বই। নিচের লিংকে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি পড়ে দেখুন যে, এটি আপনার আদৌ কাজে লাগবে কিনা! কাজে লাগলে ফোন দিয়ে বুকিং দিন কুরিয়ারে পেতে চাইলে। ফোন : 01712-908561 অথবা 01796-983199। ডাউনলোড ফাইলটির নিচেই বইটির লেখকদ্বয়ের ভূমিকা দেওয়া হলো। আরো মনোযোগী পাঠকরা পড়ে দেখতে পারেন। 



আইনের ধারাপাত বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন : পিডিএফ ফাইল



বইটির লেখকদ্বয়ের ভূমিকা

আইন মানেই ধারা। ধারার পর ধারা। ধারাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক থাকে। ধারাগুলো পরস্পর মিলেমিশে একটি যুক্তিমালা গঠন করে। কখনো একটি ধারায় বর্ণিত বিষয়বস্তু শুধুই সাধারণ সংজ্ঞা অথবা পদ্ধতি বর্ণনা করে, কখনো ঠিক পরের ধারাগুলোতেই উক্ত সংজ্ঞা বা পদ্ধতির ধারণাকে আরো সংকুচিত করে থাকতে পারে, আবার বিস্তৃতিও ঘটাতে পারে। ব্যতিক্রম, সেতো দুনিয়ার সবকিছুতেই আছে! তো এই ধারাগুলো কীভাবে সামলাবেন? এই ধারাগুলো কীভাবে মনে রাখবেন পরীক্ষার জন্য? এনিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা মুক্ত করতেই এই জটিল বইটি লিখতে সাহস করেছি আমরা। এই বইটিতে আরো অনেক কনটেন্ট আমরা যুক্ত করতে পারিনি – কিছু কাজ বিষয়ে আরো গভীর চিন্তাভাবনা করা দরকার, আবার কিছু কাজ এখানে যুক্ত করলে বইয়ের পরিসর অনেক বেড়ে যাবে এসব কারণে। তবে অনলাইনে সেগুলোর আপডেট পেতে থাকবেন। আমরা চেয়েছি, আপনি আমাদের প্রকাশিত ‘একটি চিরুনি অভিযান [MCQ পর্ব]’ – বইটির পাঠক হোন বা অন্য কোনো বইয়ের পাঠক হোন না কেন, এই বইটি যেন সকলের কাছে সুলভ মূল্যে সরবরাহ করে আইন শিক্ষাকে সহজতর ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারি। এটিকে এর প্রথম ধাপ বলতে পারেন। ভবিষ্যতে এর আরো উন্নয়ন ঘটাতে পারবো শিক্ষার্থীদের মতামত-পরামর্শ পেলে।

বইটি কীভাবে সাজানো আছে, কীভাবে এটি রিভিশনের জন্য কাজে লাগাবেন তা বিস্তারিত বলা আছে এর পরের পৃষ্ঠা থেকেই। বরং, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অন্য কিছু কথা বলা ভালো। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত শর্টকাট পড়াশোনায় বার কাউন্সিল পরীক্ষা পাস করতে চান। মূল বই বা মূল ধারায় অত্যন্ত কম মনোযোগ দিয়ে ধারার সারমর্মভিত্তিক উপলব্ধি নেবার চেষ্টা করেন, যেটি পদ্ধতি হিসেবে খুবই সেকেলে-অনাধুনিক-অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু, মনোবিজ্ঞানীদের এমনতর ভুরিভুরি গবেষণা আছে, যেগুলোতে তার বলছেন যে, কোনো বিষয়কে অন্য সমরূপ বা বিপরীত কিংবা একই বিষয়ের কিছু ভিন্নতর বৈশিষ্ট্যের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত করে না পড়লে, সেই পড়াটি স্থায়ীভাবে মাথায় মনে থাকে না। আর এটি যদি কোনো ব্যবহারিক বিষয় সম্পর্কিত পাঠ হয়ে থাকে তবে তা ব্যবহারিকভাবে ব্যবহারেই সবচে বেশি মনে রাখার সক্ষমতা অর্জন করা যায়।

বার কাউন্সিলের বিগত পরীক্ষায় যেভাবে ধারাভিত্তিক প্রশ্ন দিয়েছে, এমনকি কিছু রেয়ার তাত্ত্বিক প্রশ্ন, শিক্ষার্থীরা যা কল্পনাও করেনি [যেমন, সাক্ষ্য আইনের কত ধারায় যৌথ অভিপ্রায়ের কথা বলা আছে?] তেমন প্রশ্ন এসেছে বার কাউন্সিল পরীক্ষায়। পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষাগুলো যে আরো জটিল এবং সৃজনশীল প্রশ্নে ভরপুর থাকবে না, একথা বলার কোনো সুযোগই নেই। উন্নত বিশ্বের কথা বাদই দিলাম, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, ভারত, যারা কিনা অনেক সূচকেই বাংলাদেশের চেয়েও অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা বার কাউন্সিল ও জুডিসিয়ারির প্রশ্নের প্যাটার্ন ও পরীক্ষা পদ্ধতি উভয়ই বেশ জটিল ও সৃজনশীল। সেই তুলনায় আমাদের বার বা জুডিসিয়ারির প্রশ্নমালার ধরন অনেক সাধারণ স্তরের। একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী ও দক্ষ পেশাজীবী তৈরিতে আমাদের বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক সক্ষম ও মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেমন এগিয়ে আসছে আইন সেক্টরের পেশায়, তেমনি দিনে দিনে পরীক্ষাগুলোও ক্রমে কঠিন হয়ে উঠছে। কেননা, ফিল্টার করে সেরা শিক্ষার্থীদেরকেই বেছে নিতে হচ্ছে পেশাজীবীদের স্তরে।

তাহলে, কোনো শিক্ষার্থী আদালতে নিয়মিত শিক্ষানবিশ হিসেবে যাতায়াত এবং ব্যবহারিক বিষয়গুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টার মধ্য দিয়ে সহজে তার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সমস্ত বিষয় মনে রাখতে পারেন। আর সেটি যদি সম্ভব না হয়, তবে নিশ্চয়ই এমন কোনোভাবে একটি তত্ত্বীয় বিষয় পাঠ করা সম্ভব যাতে করে এর মেমোরাইজিংটি সূচারুরূপে সম্ভবপর হয়ে ওঠে। কিন্তু সেটার জন্য সাধারণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো – সম্পর্কিত বা এসোসিয়েট করে পড়াশোনা করা, পুরো সমগ্র আইডিয়াকে বোঝা, সমগ্রের মাঝে এর একটি অংশকে বোঝা, আবার, উল্টো করে একটি অংশের সাথে পুরো সমগ্রের সম্পর্ক বোঝা। ‘অংশ’, ‘সমগ্র’ কীভাবে বুঝতে হয় বা কীভাবে সম্পর্কিত সে সম্পর্কে কোনো দার্শনিক ব্যাখ্যা দেবার জায়গা এটা নয়; সুযোগ নেই। তবে, ‘বার কাউন্সিল প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হয়’ শীর্ষক আমাদের একটি বহুল জনপ্রিয় নিবন্ধ মূল ‘একটি চিরুনি অভিযান [MCQ পর্ব]’ বইয়ে আছে, ওয়েবসাইটেও সেটি আছে। ওয়েবসাইটে ‘ধারা ও ধারার বিষয়বস্তু কীভাবে আয়ত্ব করবেন’ শীর্ষক জনাব রাম চন্দ্র দাশ এর লেখা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ আছে সেটিও কাজে লাগবে আপনাদের। সেগুলো এখানে না দিয়ে বইয়ের পরিসর আর বাড়ালামনা। এই দুইটি নিবন্ধ ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিলে আমরা যা বলতে চাইছি তার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন বলে আশা করি।

তো, শিক্ষার্থীরা তাদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন; কিন্তু লেখক হিসেবে আমাদেরও কিছু দায় আছে। বার কাউন্সিলের কোর্সগুলোর কীভাবে একটি সামগ্রিক ধারণা নিয়ে এটিকে সহজভাবে উপলব্ধি করা যেতে পারে, তারই একটি সামান্য প্রয়াস এই বইটি। পাশাপাশি যারা নিজেদের প্রস্তুতি কমবেশি সম্পন্ন করেছেন তাদের জন্য এই বইটি রিভিশনাল বুক হিসেবে কাজ করবে। তারা কোনো ধারণা বা বিষয়বস্তু কতটা বুঝেছেন এবং কতটা মনে রাখতে পেরেছেন, সেটি যাচাই করার জন্য এর প্রশ্নগুলো যথাসম্ভব মানসম্পন্ন করা হয়েছে। আশা রাখি এটি বার কাউন্সিল এমসিকিউ ও ভাইভা পরীক্ষার্থীদের বেশ কাজে দেবে। এমনকি এভাবে প্রস্তুতিটি একবার সম্পন্ন করতে পারলে ভবিষ্যতে যখন আপনি আইনজীবী হিসেবে কাজ করবেন তখনও আপনার বেসিক দক্ষতা দেখবেন যে অন্যদের চাইতে সাধারণভাবেই অনেক বেশি থাকবে।

মুরাদ মোর্শেদ
তাহেরা নাজমা
01 নভেম্বর, 2018



একটি চিরুনি অভিযান [MCQ পর্ব]
বইটি কিনুন!
আইনের বেসিক জানুন।
চূড়ান্ত সাফল্য নিশ্চিত করুন।

বইটি যতটুকু দেখলাম তাতে খুব সুন্দর ও নান্দনিক উপস্থাপনা।জুডিশিয়ারী ও আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা!

Md Moniruzzaman Sohan

Assistant Professor, Department of Law, Feni University

Got the book just an hour ago. At first sight I thought it quite expensive but once I have gone through the first lecture it proved that its not a white elephant. Way better than other books of Bar Council Exam I have, definitely!

Shohidul Islam Jony

Apprentice Lawyer, Dhaka Judge Court