সঠিক উত্তর : আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন ; [তাত্ত্বিক ধারণা, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : দেওয়ানি মোকদ্দমায় তামাদির বিষয়টি আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন। আইনে উল্লেখিত কোনো বিষয় দ্বারা যখন কোনো সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয় বা নির্দিষ্ট হয় তখন তা আইনের প্রশ্ন। আর, আইনে উল্লেখ থাকা বিষয়ের সাথে যখন কোনো প্রাসঙ্গিক ঘটনা দ্বারা আদালতের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত বা নির্দিষ্ট হয় তখন তাকে ঘটনার প্রশ্ন বলে। আইনে সাধারণত আইনের প্রশ্ন ও ঘটনার প্রশ্ন হাত ধরাধরি করে চলে। তবে, একটি ঘটনা নিরঙ্কুশভাবে আইনের সংজ্ঞাধীন হলে তা আইনের প্রশ্ন বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু উক্ত আইনের বাইরেও যখন ন্যায়বিচারের প্রশ্নের মীমাংসা করতে হয় তখন তাকে ঘটনার বিশেষ বিশেষ দিকের সাথে আইনের বিভিন্ন দিক এবং আদালতের সুবিবেচানপ্রসূত মতামত দ্বারা সিদ্ধান্ত দিতে হয়, তখন তা ঘটনার প্রশ্ন বলে বিবেচিত হয়। আমরা তামাদি আইনের সাথে আলোচনাটিকে আরেকটু বিস্তৃত করতে পারি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে। যেমন, তামাদি আইনের ৩ ধারায় উল্লেখ আছে যে, নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর মোকদ্দমা, আপিল, দরখাস্ত ইত্যাদি দায়ের করা হলে তা খারিজ হয়ে যাবে। এই খারিজ হয়ে যাবার বিষয়টি সরাসরি আইনের প্রশ্ন। কিন্তু, অন্যদিকে ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, আপিল, রিভিউ, রিভিশন বা অন্য কোনো দরখাস্ত নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরেও আদালতে তা গৃহীত হতে পারে, যদি আপিলকারী বা দরখাস্তকারী আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারে যে, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত আপিল বা দরখাস্ত দাখিল না করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিলো। অর্থাৎ, আপিলকারী বা দরখাস্তকারী অসুস্থতা, ভ্রান্তি, আইনজীবীর ভুল ইত্যাদি ঘটনাগত কারণে নির্ধারিত সময়ের ভেতরে আপিল বা দরখাস্ত দায়ের করতে না পারলে তা নির্ধারিত তামাদির মেয়াদের পরেও গৃহীত হতে পারে। ফলে, এই ৫ ধারায় একটি ঘটনার প্রশ্ন আমরা দেখলাম। যাইহোক, শেষকথা হলো - তামাদির বিষয়টি আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন।]
সঠিক উত্তর : আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন ; [তাত্ত্বিক ধারণা, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : দেওয়ানি মোকদ্দমায় তামাদির বিষয়টি আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন। আইনে উল্লেখিত কোনো বিষয় দ্বারা যখন কোনো সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয় বা নির্দিষ্ট হয় তখন তা আইনের প্রশ্ন। আর, আইনে উল্লেখ থাকা বিষয়ের সাথে যখন কোনো প্রাসঙ্গিক ঘটনা দ্বারা আদালতের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত বা নির্দিষ্ট হয় তখন তাকে ঘটনার প্রশ্ন বলে। আইনে সাধারণত আইনের প্রশ্ন ও ঘটনার প্রশ্ন হাত ধরাধরি করে চলে। তবে, একটি ঘটনা নিরঙ্কুশভাবে আইনের সংজ্ঞাধীন হলে তা আইনের প্রশ্ন বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু উক্ত আইনের বাইরেও যখন ন্যায়বিচারের প্রশ্নের মীমাংসা করতে হয় তখন তাকে ঘটনার বিশেষ বিশেষ দিকের সাথে আইনের বিভিন্ন দিক এবং আদালতের সুবিবেচানপ্রসূত মতামত দ্বারা সিদ্ধান্ত দিতে হয়, তখন তা ঘটনার প্রশ্ন বলে বিবেচিত হয়। আমরা তামাদি আইনের সাথে আলোচনাটিকে আরেকটু বিস্তৃত করতে পারি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে। যেমন, তামাদি আইনের ৩ ধারায় উল্লেখ আছে যে, নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর মোকদ্দমা, আপিল, দরখাস্ত ইত্যাদি দায়ের করা হলে তা খারিজ হয়ে যাবে। এই খারিজ হয়ে যাবার বিষয়টি সরাসরি আইনের প্রশ্ন। কিন্তু, অন্যদিকে ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, আপিল, রিভিউ, রিভিশন বা অন্য কোনো দরখাস্ত নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরেও আদালতে তা গৃহীত হতে পারে, যদি আপিলকারী বা দরখাস্তকারী আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারে যে, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত আপিল বা দরখাস্ত দাখিল না করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিলো। অর্থাৎ, আপিলকারী বা দরখাস্তকারী অসুস্থতা, ভ্রান্তি, আইনজীবীর ভুল ইত্যাদি ঘটনাগত কারণে নির্ধারিত সময়ের ভেতরে আপিল বা দরখাস্ত দায়ের করতে না পারলে তা নির্ধারিত তামাদির মেয়াদের পরেও গৃহীত হতে পারে। ফলে, এই ৫ ধারায় একটি ঘটনার প্রশ্ন আমরা দেখলাম। যাইহোক, শেষকথা হলো - তামাদির বিষয়টি আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন।]