সঠিক উত্তর : ২০ বছরের ; [ধারা : ২৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : এই প্রশ্নটির বিস্তারিত ব্যাখ্যার পূর্বে দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব বলতে কী বোঝায় সেটি বুঝে নেয়ার প্রয়োজন। দখলের দ্বারা মালিকানা অর্জন করা যায় - এটি আইনের অতি সুপ্রতিষ্ঠিত একটি নীতি। দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্বের অধিকার এর সংজ্ঞা তামাদি আইনের ২ ধারার ৫ উপধারায় বর্ণিত আছে। দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব হলো এমন এক ধরনের অধিকার যা কোনো চুক্তির ফলে উদ্ভুত হয়না, কিন্তু যেটির দ্বারা কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন জমি, জমির কোনো অংশ, ফসল বা তাতে সংযুক্ত বা অবাঞ্ছিত কোনো কিছু অপসারণ ও ব্যবহার করার অধিকার লাভ করে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে শর্তাধীনে বা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অপর কোনো ব্যক্তির জমি [জমিতে সংযুক্ত কোনো কিছু যা আলো-বাতাসকে-জলস্রােত ইত্যাদিকেও অন্তর্ভুক্ত করে] ব্যবহারের অধিকার লাভ করে তা স্থায়ী করে ফেলে, তখন সেটিকেই বলা হয় দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব। তামাদি আইনের ২৬ ধারার শর্তসমূহ পূরণসাপেক্ষে এই দখলস্বত্ব অর্জন করা যায়। ২৬ ধারাটির শিরোনাম - ‘সুখাধিকারসমূহ অর্জন [Acquisition of right to easements]’। ধারাটির মূল কথা হলো - কোনো ব্যক্তি যদি কোনো পথ, পানি, কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আলো-বাতাস ইত্যাদি আপন অধিকারে অব্যাহতভাবে বা নিরবিচ্ছিন্নভাবে, প্রকাশ্যে ও শান্তিপূর্ণভাবে ২০ বছর ধরে ভোগ করে তবে এই ভোগ করার অধিকার স্থায়ী অধিকারে পরিণত হবে। এই বিষয়গুলো প্রমাণ করতে পারলে, যারা সুখাধিকার দাবি করেছেন, আদালত তাদের অনুকূলে সুখাধিকার ভোগের রায় প্রদান করবে। তবে যার সম্পত্তিতে এই সুখাধিকার দাবি করা হচ্ছে তিনি যদি ২০ বছরের মধ্যে একটি দিনেরও প্রমাণ দিতে পারেন, যেদিন তিনি এই অধিকারগুলো ভোগে বাধা দিয়েছেন বা তার অনুমতি সাপেক্ষেই এতদিন তারা এই অধিকার ভোগ করেছে তবে আদালত সুখাধিকারের আবেদন গ্রাহ্য করবে না। ২০ বছরের হিসেবটি কোনো বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু তা কোনো সরকারি সম্পত্তি হলে ৬০ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশ্য ব্যবহার হিসেবে প্রমাণ করতে হবে।]
সঠিক উত্তর : ২০ বছরের ; [ধারা : ২৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : এই প্রশ্নটির বিস্তারিত ব্যাখ্যার পূর্বে দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব বলতে কী বোঝায় সেটি বুঝে নেয়ার প্রয়োজন। দখলের দ্বারা মালিকানা অর্জন করা যায় - এটি আইনের অতি সুপ্রতিষ্ঠিত একটি নীতি। দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্বের অধিকার এর সংজ্ঞা তামাদি আইনের ২ ধারার ৫ উপধারায় বর্ণিত আছে। দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব হলো এমন এক ধরনের অধিকার যা কোনো চুক্তির ফলে উদ্ভুত হয়না, কিন্তু যেটির দ্বারা কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন জমি, জমির কোনো অংশ, ফসল বা তাতে সংযুক্ত বা অবাঞ্ছিত কোনো কিছু অপসারণ ও ব্যবহার করার অধিকার লাভ করে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে শর্তাধীনে বা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অপর কোনো ব্যক্তির জমি [জমিতে সংযুক্ত কোনো কিছু যা আলো-বাতাসকে-জলস্রােত ইত্যাদিকেও অন্তর্ভুক্ত করে] ব্যবহারের অধিকার লাভ করে তা স্থায়ী করে ফেলে, তখন সেটিকেই বলা হয় দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব। তামাদি আইনের ২৬ ধারার শর্তসমূহ পূরণসাপেক্ষে এই দখলস্বত্ব অর্জন করা যায়। ২৬ ধারাটির শিরোনাম - ‘সুখাধিকারসমূহ অর্জন [Acquisition of right to easements]’। ধারাটির মূল কথা হলো - কোনো ব্যক্তি যদি কোনো পথ, পানি, কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আলো-বাতাস ইত্যাদি আপন অধিকারে অব্যাহতভাবে বা নিরবিচ্ছিন্নভাবে, প্রকাশ্যে ও শান্তিপূর্ণভাবে ২০ বছর ধরে ভোগ করে তবে এই ভোগ করার অধিকার স্থায়ী অধিকারে পরিণত হবে। এই বিষয়গুলো প্রমাণ করতে পারলে, যারা সুখাধিকার দাবি করেছেন, আদালত তাদের অনুকূলে সুখাধিকার ভোগের রায় প্রদান করবে। তবে যার সম্পত্তিতে এই সুখাধিকার দাবি করা হচ্ছে তিনি যদি ২০ বছরের মধ্যে একটি দিনেরও প্রমাণ দিতে পারেন, যেদিন তিনি এই অধিকারগুলো ভোগে বাধা দিয়েছেন বা তার অনুমতি সাপেক্ষেই এতদিন তারা এই অধিকার ভোগ করেছে তবে আদালত সুখাধিকারের আবেদন গ্রাহ্য করবে না। ২০ বছরের হিসেবটি কোনো বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু তা কোনো সরকারি সম্পত্তি হলে ৬০ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশ্য ব্যবহার হিসেবে প্রমাণ করতে হবে।]