সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : তামাদি আইনের ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী মামলা দায়েরের জন্য একজন নাবালক নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও ৩ বছর অতিরিক্ত সময় পেয়ে থাকেন। এ বিষয়ে একটি উদাহরণের আশ্রয় নিতে পারি আমরা। করিম একজন উন্মাদ ব্যক্তি। সে তার জমি থেকে জোরপূর্বক ও অন্যায়ভাবে বেদখল হয়েছে। সাধারণভাবে আমরা জানি যে, তামাদি আইনের প্রথম তফসিলে ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বত্বসহ দখল উদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে হয় বেদখল হবার ১২ বছরের মধ্যে। কিন্তু যেহেতু করিম একজন উন্মাদ তথা, আইনগতভাবে অপারগ একজন ব্যক্তি, তাই তার সুস্থ হবার আগ পর্যন্ত তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে না। এখন, ধরা যাক যে, করিম বেদখল হবার ১০ বছর পরে সুস্থ হলো। হিসাব অনুযায়ী মোকদ্দমা দায়েরে তার তামাদির মেয়াদ অবশিষ্ট আছে ২ বছর। কিন্তু ৬ ও ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী তামাদির মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়িয়ে ৩ বছর করা যাবে। আবার, ধরা যাক, যদি ৫ বছরের পরেই করিম সুস্থ হয়ে উঠতো, তাহলে মোকদ্দমা দায়ের করার জন্য আরো অবশিষ্ট সময় থাকতো ৭ বছর। এক্ষেত্রে আদালত তার জন্য কোনো সময় বাড়াবে না। কেননা, করিমের মোকদ্দমা দায়েরের জন্য অবশিষ্ট যে সময় আছে, তা ৩ বছরেরও বেশি সময়। অর্থাৎ মূল কথা হলো - আইনগত অপারগতা অবসানের পর মূল তামাদি মেয়াদ ৩ বছরের কম অবশিষ্ট থাকে তবে ৩ বছরের পর্যন্ত আদালত তার জন্য সময় রাখবে। আর যদি মূল তামাদির মেয়াদ ৩ বছরের বেশি থাকে তবে, যে সময় অবশিষ্ট থাকে সেই সময়টুকুই পাবে; অতিরিক্তভাবে তার জন্য আর ৩ বছরের সময় বর্ধিত করার কোনো প্রয়োজন নেই।]
সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : তামাদি আইনের ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী মামলা দায়েরের জন্য একজন নাবালক নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও ৩ বছর অতিরিক্ত সময় পেয়ে থাকেন। এ বিষয়ে একটি উদাহরণের আশ্রয় নিতে পারি আমরা। করিম একজন উন্মাদ ব্যক্তি। সে তার জমি থেকে জোরপূর্বক ও অন্যায়ভাবে বেদখল হয়েছে। সাধারণভাবে আমরা জানি যে, তামাদি আইনের প্রথম তফসিলে ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বত্বসহ দখল উদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে হয় বেদখল হবার ১২ বছরের মধ্যে। কিন্তু যেহেতু করিম একজন উন্মাদ তথা, আইনগতভাবে অপারগ একজন ব্যক্তি, তাই তার সুস্থ হবার আগ পর্যন্ত তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে না। এখন, ধরা যাক যে, করিম বেদখল হবার ১০ বছর পরে সুস্থ হলো। হিসাব অনুযায়ী মোকদ্দমা দায়েরে তার তামাদির মেয়াদ অবশিষ্ট আছে ২ বছর। কিন্তু ৬ ও ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী তামাদির মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়িয়ে ৩ বছর করা যাবে। আবার, ধরা যাক, যদি ৫ বছরের পরেই করিম সুস্থ হয়ে উঠতো, তাহলে মোকদ্দমা দায়ের করার জন্য আরো অবশিষ্ট সময় থাকতো ৭ বছর। এক্ষেত্রে আদালত তার জন্য কোনো সময় বাড়াবে না। কেননা, করিমের মোকদ্দমা দায়েরের জন্য অবশিষ্ট যে সময় আছে, তা ৩ বছরেরও বেশি সময়। অর্থাৎ মূল কথা হলো - আইনগত অপারগতা অবসানের পর মূল তামাদি মেয়াদ ৩ বছরের কম অবশিষ্ট থাকে তবে ৩ বছরের পর্যন্ত আদালত তার জন্য সময় রাখবে। আর যদি মূল তামাদির মেয়াদ ৩ বছরের বেশি থাকে তবে, যে সময় অবশিষ্ট থাকে সেই সময়টুকুই পাবে; অতিরিক্তভাবে তার জন্য আর ৩ বছরের সময় বর্ধিত করার কোনো প্রয়োজন নেই।]