সঠিক উত্তর : বাংলাদেশে বিচার করা যাবে এবং খুনের দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে ; [ধারা : ৪, দণ্ডবিধি। রিমাইন্ডার : ৩ ও ৪ ধারার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কোনো অপরাধ বাংলাদেশের আইনে অপরাধ বলে বিবেচিত হলেই তা বাংলাদেশে বিচার্য। ৮ নং প্রশ্নের ব্যাখ্যার সাথে এটিও মনে রাখুন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৮ ধারা অনুসারে প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়ের ক্ষেত্রে অপরাধীর বিচারের জন্য সরকারের সার্টিফিকেট লাগবে। ফৌজদারি কার্যবিধির এই ১৮৮ ধারাটির শিরোনাম - ‘বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের দায়িত্ব’; ধারাটি একবার রিডিং দিয়ে রাখবেন দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারার সাথে।]

সঠিক উত্তর : ৫ ধারা  ; [ধারা : ৫, দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : Substantive Law; [দণ্ডবিধির তাত্ত্বিক আলোচনা। রিমাইন্ডার : ১৮৬০ সালের ৬ অক্টোবর প্রণীত হওয়া [যদিও কার্যকর হয় ১৮৬২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে] এই আইনে ৫১১ টি ধারা আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৩৭ সালে এর প্রথম খসড়া তৈরি হয় Lord Macaulay কর্তৃক। এটি তত্ত্বগত আইন বা Substantive Law কেননা এখানে প্রায় সব ধরনের ফৌজদারি অপরাধের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, আরো আছে শাস্তি, শাস্তির প্রকারভেদ, অপরাধের ব্যতিক্রম, বিভিন্ন অপরাধে নির্দিষ্ট ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিবরণ। এগুলোর সবই মূলত সংজ্ঞায়নের আওতায় পড়ে। ফলে এটা তত্ত্বগত আইন। ইংরেজিতে Substantive Law বলে এটাকে। এর সাথে সম্পর্কিত ধারণা হলো- পদ্ধতিগত আইন বা Procedural Law যেমন- ফৌজদারি কার্যবিধি। পদ্ধতিগত আইন প্রয়োগ করে আদালতের কর্মপ্রক্রিয়া চলে আর তত্ত্বগত আইনে কোনো বিষয়ের তাত্ত্বিক ধারণা নির্দিষ্ট করা থাকে। দণ্ডবিধি একটি তত্ত্বগত আইন [Substantive Law] এবং এই তত্ত্বগত আইনের প্রয়োগ হয় ফৌজদারি কার্যবিধি দিয়ে যা কিনা একটি পদ্ধতিগত আইন।]

সঠিক উত্তর : সভাপতি লর্ড ম্যাকুলে এবং কমিশনার ম্যাকলয়েড এন্ডারসন ও মিলেট ; [প্রাথমিক ইতিহাস, দণ্ডবিধি। রিমাইন্ডার : প্রথম আইন কমিশন তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ভারতে গঠিত হয়েছিলো। ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য আইন প্রণয়ন এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো। ১৮৩৩ সালের চার্টার এ্যক্ট এর অধীনে ১৮৩৪ সালে এই আইন কমিশনটি গঠিত হয় যার চেয়ারম্যান ছিলেন লর্ড ম্যাকুলে। তার পুরো নাম ছিলো লর্ড থমাস ব্যবিংটন ম্যাকুলে। তার অধীনে দণ্ডবিধি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই কমিটিতে আরো ছিলোন ম্যাকলয়েড এন্ডারসন এবং মিলেট। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কয়েক দফা খসড়া সংশোধনীর পরে এই আইনটি ১৮৬০ সালে পাস এবং ১৮৬২ সালে কার্যকরী হলেও ১৮৫৯ সালেই লর্ড ম্যাকুলে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার মাস্টারপিসটির অনুমোদন ও কার্যকর হওয়া দেখে যেতে পারেন নি। বার্নেস পিকক [যিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন পরবর্তীতে] এই আইনটি অনুমোদন হবার আগে অতি সতর্কভাবে এর রিভিশন দেন। তাঁর অবদানও গুরুত্বের সাথে স্বীকার করা হয় এই আইনটি চূড়ান্ত হবার ক্ষেত্রে।]

সঠিক উত্তর : ১৮৬২ সালের ১ জানুয়ারি  ; [দণ্ডবিধি আইনের শিরোনাম]

সঠিক উত্তর : ৫ ধারা ; [ধারা : ৫, দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : অপরাধের ব্যতিক্রমের ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়বস্তু  [ইতিহাস : দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : ১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন ; [দণ্ডবিধি আইনের শিরোনাম]

সঠিক উত্তর : Lord Macaulay ; [প্রাথমিক ইতিহাস, দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : Substantive law ; [দণ্ডবিধির তাত্ত্বিক আলোচনা। রিমাইন্ডার : ১৮৬০ সালের ৬ অক্টোবর প্রণীত হওয়া [যদিও কার্যকর হয় ১৮৬২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে] এই আইনে ৫১১ টি ধারা আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৩৪ সালে এর প্রথম খসড়া তৈরি হয় Lord Macaulay কর্তৃক। এটি তত্ত্বগত আইন বা Substantive Law কেননা এখানে প্রায় সব ধরনের ফৌজদারি অপরাধের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, আরো আছে শাস্তি, শাস্তির প্রকারভেদ, অপরাধের ব্যতিক্রম, বিভিন্ন অপরাধে নির্দিষ্ট ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিবরণ। এগুলোর সবই মূলত সংজ্ঞায়নের আওতায় পড়ে। ফলে এটা তত্ত্বগত আইন। ইংরেজিতে Substantive Law বলে এটাকে। এর সাথে সম্পর্কিত ধারণা হলো- পদ্ধতিগত আইন বা Procedural Law  যেমন- ফৌজদারি কার্যবিধি। পদ্ধতিগত আইন প্রয়োগ করে আদালতের কর্মপ্রক্রিয়া চলে আর তত্ত্বগত আইনে কোনো বিষয়ের তাত্ত্বিক ধারণা নির্দিষ্ট করা থাকে। দণ্ডবিধি একটি তত্ত্বগত আইন [Substantive Law] এবং এই তত্ত্বগত আইনের প্রয়োগ হয় ফৌজদারি কার্যবিধি দিয়ে যা কিনা একটি পদ্ধতিগত আইন।]

সঠিক উত্তর : বাংলাদেশ ; [ধারা : ৪, দণ্ডবিধি। রিমাইন্ডার : প্রশ্নে বর্ণিত ঘটনাটি উদাহরণ আকারে ৪ ধারায় দেওয়া আছে। ৪ ধারাটির সাথে ৩ ধারাটি মিলিয়ে পড়ে নেবেন। ধারা ৩ এবং ৪ এর মূল কথাটা এভাবে প্রকাশ করা যায়- বাংলাদেশে কোনোভাবে একজন বিদেশী ব্যক্তি অপরাধ করলে, অথবা উল্টোভাবে বাংলাদেশের কোনো একজন ব্যক্তি দেশের বাইরে কোনো জায়গায় কোনো অপরাধ করলে, যা কিনা বাংলাদেশের আইনে অপরাধ বলে বিবেচিত হয়, যদি তাকে বাংলাদেশে পাওয়া যায়, তবে তার বিচার বাংলাদেশের আদালত করতে পারবে। এখানে মূল বিবেচ্য বিষয় হলো- উক্ত অপরাধটি বাংলাদেশের আইনে অপরাধ বলে বিবেচিত কি না। ৪ নং ধারাটি ও তার উদাহরণসমূহ মনে রাখুন। কাজে দেবে নিশ্চিত।]

সঠিক উত্তর : অপরাধমূলক কাজ  ; [দণ্ডবিধি আইনের তাত্ত্বিক আলোচনা]; যদি কোনো অপরাধের ইচ্ছা (দুষ্ট মন বা গবহং ৎবধ) নিয়ে কেউ কোনো সমাজ-রাষ্ট্র-ব্যক্তির প্রতি ক্ষতিকর কিছু করে (অপঃঁং ৎবধ) যা কিনা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবেই একটি অপরাধ সংঘটিত হয়। প্রত্যেকটি অপরাধের ক্ষেত্রে এই সমস্ত কিছুর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এগুলো ছাড়া কোনো অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। সুতরাং আমরা অপরাধের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোকে বলতে পারি এভাবে-

১. গবহং ৎবধ বা দুষ্ট মন বা এঁরষঃু সরহফ

২. অপঃঁং ৎবধ বা অপরাধমূলক কাজ বা এঁরষঃু ধপঃ

৩. বিদ্যমান আইনে তা অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে ও  আইনে তা শাস্তিযোগ্য হতে হবে।

সঠিক উত্তর : বিশেষ আইন দণ্ডবিধির ওপর প্রাধান্য পাবে ; [ধারা : ৫, দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : Guilty mind ; [দণ্ডবিধির তাত্ত্বিক আলোচনা। রিমাইন্ডার : একটি অপরাধ সংঘটনে অবশ্যই অপরাধী মন [Mens rea বা Guilty mind] থাকতে হয় এবং অপরাধটি সংঘটিত [Actus rea] করতে হয়। পাশাপশি উক্ত কার্যটি দেশের আইনে অপরাধ বলেও নির্দিষ্ট থাকতে হয়। এগুলোর কোনো একটির অনুপস্থিতিতে কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হতে পারেনা বা অসম্ভব। বার কাউন্সিলের সিলেবাসে উল্লেখিত টপিক ÔEssential elements of an offenceÕ - এর কোনো সরাসরি আলোচনা মূল আইনে নেই। তবে থিওরি আকারে এটি পড়তে হয়। অপরাধের প্রয়োজনীয় উপাদান সম্পর্কে কোনো বইয়ে ৩টি, কোনো বইয়ে ৪টির কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু, কোনো একটি কাজ [act] বা কোনো বিচ্যুতি [omission] অপরাধ কিনা সেটার জন্য সবসময় যে ৩টি উপাদান দিয়ে এটি ফিল্টার করবেন সেগুলো হলো -
১. অপরাধী মন আছে কিনা
২. অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে কিনা
৩. অপরাধটি বাংলাদেশের আইন অনুসারে কোনো অপরাধ কিনা।]

সঠিক উত্তর : ১৮৬০; [দণ্ডবিধির শিরোনাম। রিমাইন্ডার : আইনটির শিরোনামে সালটি উল্লেখ আছে।]

সঠিক উত্তর : উক্ত অপরাধটি বাংলাদেশের আইন অনুসারে অপরাধ :  [ধারা : ৩ এবং ৪, দণ্ডবিধি]

সঠিক উত্তর : ২০০৪ সালে ; [দণ্ডবিধি]