আইনকানুন প্রকাশনী
আইনকানুন প্রকাশনী আইনজগতে নতুন; কিন্তু অঙ্গীকারাবদ্ধ একটি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান। এর অঙ্গীকার এটাই যে, আইনের নানারকম সাহিত্যসম্ভার, যেমন, আইনের পাঠ্য বই, আইন অনুবাদ, আইন সম্পর্কিত সাহিত্য, আইনাঙ্গণে জড়িত ব্যক্তিদের জীবনী গ্রন্থমালা ইত্যাদি নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে যাবে। ইতিমধ্যেই ৪টি বই প্রকাশিত হয়ে থাকলেও সেগুলো এখন বাজারে নেই। সেগুলোই নতুন সংস্করণ আকারে খুব শীঘ্রই হাজির হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নিচে প্রদর্শিত বইগুলো আগামী বছরখানেক জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন মাসে একে একে বাজারে আসতে থাকবে বলে আশাবাদী আমরা।
এই বই ইতিমধ্যেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে!
২০২০ সালের বার কাউন্সিল এমসিকিউ পরীক্ষার আগে এই বইটির পূর্বের সংস্করণ ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক এবং সর্বাধিক সাড়া ফেলেছিলো। এডভান্স পাঠকগণ এই বইটিকে রিভিশন বুক হিসেবে এবং পিছিয়ে পড়া ছাত্রগণ বইটিকে সম্বল করে অল্প সময়ে সহজে প্রস্তুতি নিতে পেরেছিলেন। কেননা, বিগত সালের সব প্রশ্নের এতো চমৎকার-প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা এবং পাশাপাশি অন্যান্য যা বিষয়ে যেখান থেকে কিনা প্রশ্ন আসেনি; কিন্তু আসার সম্ভাবনা আছে সেগুলো সহজে এক বইয়ে এভাবে সংকলিত আকারে পাওয়া গেছে! সাড়া জাগানো এই বইটি আরো নতুনভাবে গুছিয়ে প্রকাশিত হলো ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। বইটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন এই অংশে ক্লিক করে!
এই বই আসতে যাচ্ছে মে মাসের ১৮ তারিখ!
আমাদের প্রকাশিত বইগুলোতে সরাসরি এমসিকিউ থাকছে না। ওগুলো মূলত একাডেমিক বই হলেও সেখানে বার কাউন্সিল বা জুডিসিয়ারি পরীক্ষার জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর এমসিকিউ অনুশীলনের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে এই বইটি প্রয়োজনীয়। এই বইয়ে বার কাউন্সিলের সিলেবাসে থাকা সব বিষয়ের অধ্যায় বা ধারাভিত্তিক এমসিকিউগুলো সাজানো আছে। মূল বই পড়ে নিয়ে এই বইয়ে শুধুই অনুশীলন করা যাবে এমসিকিউ আকারে। এই বইটি পাওয়া যাবে আসছে ১৮ মে তারিখে।। অপেক্ষায় থাকুন!
২০২২ সালে প্রকাশিতব্য বইসমূহ!
বার কাউন্সিল অথবা জুডিসিয়ারি, যেটাই ভাবেন না কেন, আইনের বেসিক না জেনে আপনি কোনোটাতেই চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না, বিশেষ করে লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা আরো বেশি প্রযোজ্য। যদিও কোর্স আকারে এরকম কোনো কোর্স পড়তে হয় না; কিন্তু, এটি অতি আবশ্যকীয়। বইটির ভেতরের কনটেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপস্থাপন করা হবে। বইটি লেখার কাজ চলমান আছে। আগামী ২০২২ সালের আগস্টে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
দণ্ডবিধি পড়ার ক্ষেত্রে কীভাবে এর অংশগুলোকে প্রধান ৫টি ভাগে ভাগ করে পড়লে বিষয়টি সহজে আয়ত্ত্বে আসে, তার এক অনন্য আলোচনা মুরাদ মোর্শেদ গত কয়েকবছর ধরেই বলে আসছেন। তাঁরই পরিকল্পনামাাফিক অসাধারণ এই পাঠ্য বইটি একাডেমিক জগত এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমরা আশাবাদী। আগামী ২০২২ সালের মার্চ মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
ফৌজদারি কার্যবিধি বোঝার ক্ষেত্রে আদালতের কাঠামো ও এখতিয়ার এবং মামলার স্টেপগুলো দিয়ে একবার বুঝে উঠতে পারলে সহজতর হয়ে যায়। আমাদের দেশে প্রচলিত বইগুলোর এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে বইটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফৌজদারি কার্যবিধির মতো বড় পরিসরের আইনও তখন হাতের মুঠোয় চলে আসবে। বইটি ছাত্রদের পাশাপাশি প্র্যাকটিসরতদেরও ভীষণ কাজে লাগবে। বার কিংবা জুডিসিয়ারি পরীক্ষার্থীদের কঠিন পরীক্ষার স্তরসমূহ পার হয়ে যেতে এই বইটি সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করবে। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
সাক্ষ্য আইন তুলনামূলক ছোট একটি আইন হওয়া সত্ত্বেও আদালত-আইনজীবী সকলের জন্য এক অপরিহার্য আইন। এই আইনকে ভালোভাবে আত্মস্থ করার ওপরেই নির্ভর করে একজন প্রতিকারপ্রার্থীকে যথাযথভাবে প্রতিকার দেওয়া যাবে কিনা। বার অথবা জুডিসিয়ারি পরীক্ষার জন্য অনেক গোছানো আকারে বিস্তারিত পরিসরে আলোচনা করা আছে এই বইটিতে। সাক্ষ্য আইনের প্রচলিত অনেকগুলো ভালো বইয়ের তালিকায় এই বইটি যুক্ত হলে আইনঅঙ্গন সমৃদ্ধ হবে। আগামী ২০২২ সালের মে মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন হলো দেওয়ানি প্রতিকার সংক্রান্ত প্রধান তত্ত্বগত আইন। এই আইন মূলত প্রচলিত দেওয়ানি মোকদ্দমার সিংহভাগ ধারণ করে। ফলে, আইনটি উপলব্ধির ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করে। ছোট্ট এই আইনটি হাতেকলমে বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে এই বইটির বিকল্প নেই। আশা করি, চমৎকার একটি বই আপনাদের হাতে আমরা তুলে দিতে পারবো। আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
দেওয়ানি প্রতিকার সংক্রান্ত প্রধান পদ্ধতিগত আইন দেওয়ানি কার্যবিধি। ফৌজদারি কার্যবিধির মতো এই আইনকেও আত্মস্থ করতে হলে মোকদ্দমার স্টেজসমূহ এবং আদালতের গঠনকাঠামোর সাথে সাথে বাড়তি করে এর তত্ত্বীয় বিভিন্ন কনসেপ্ট পরিষ্কারভাবে জানতে হবে। বইটি সে মোতাবেকই সাজানো হয়েছে যেন, কোনো শিক্ষকের সহযোগিতা ছাড়াই একজন দেওয়ানি কার্যবিধি পুরোটা আয়ত্ত্ব করতে পারে। বইটি একাডেমিক ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে। আগামী ২০২২ সালের জুলাই মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
তামাদি আইন ছোট্ট একটি আইন হলেও অনেকগুলো জরুরি বিষয়ই এর বিষয়বস্তু। উপরন্তু, এর প্রথম তফসিলে থাকা অনুচ্ছেদসমূহ মনে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষত বার অথবা জুডিসিয়ারি পরীক্ষার জন্য। আইনটির তত্ত্বীয় ধারণা এবং ধারা-অনুচ্ছেদের মেমোরাইজেশন যেন প্রপারলি হয় সেজন্য ছোট্ট আইনটিরও সব খুঁটিনাটি ধরে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। বইটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে বলে আশাবাদী আমরা। আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
বার কাউন্সিল রুলস ও অর্ডার এবং আচরণবিধিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অনেকেই খুবই সামান্য গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু, এখান থেকেও অনেক মারাত্মক কঠিন-জটিল প্রশ্ন করা সম্ভব যা কিনা বিগত কিছু পরীক্ষায় নজির দেখা গেছে। ফলে, ছোট্ট বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। বার কাউন্সিল অর্ডার ও রুলস নিয়ে এটিই বাজারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি বই। পরীক্ষার্থী ছাড়াও আইনজীবীদেরও বইটি সংগ্রহে রাখা উচিত। আগামী ২০২২ সালের মে মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।
এটি একটি ভিন্নধর্মী বই। বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষায় ড্রাফটিং একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুরাদ মোর্শেদ স্যার বলে থাকেন যে, ড্রাফটিং হলো কার্যত বার কাউন্সিলের অষ্টম সাবজেক্ট! তাঁর প্রণীত লিখিত বইয়ে ড্রাফটিং অংশটি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে ইতিমধ্যে। সেটিরই বর্ধিত রূপে এই বইয়ে আলোচনা থাকছে। ড্রাফটিং বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান ছাড়া এমনকি দেওয়ানি কার্যবিধি ভালোভাবে আত্মস্থ করা সম্ভব নয়। উপরন্তু, প্র্যাকটিকাল বুক নামের এই বইটিতে মূলত বার কাউন্সিল বা জুডিসিয়ারি পরীক্ষার্থীদের যেন আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান গড়ে ওঠে এবং আদালতের প্রতিটি কার্যক্রমের আইনী ভিত্তিসমূহ কোথায় কোথায় বর্ণিত আছে তার রেফারেন্সও জানা থাকে, সে চেষ্টা করা হয়েছে। সেকারণে, এটি ছাত্রদের জন্য অপরিহার্য একটি বই। এমনকি আইনজীবীদেরও বইটি সংগ্রহে রাখা উচিত। আগামী ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বইটি বাজারে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।