সঠিক উত্তর : আর্থিক ক্ষতিপূরণ ; [ধারা : ৫, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন। রিমাইন্ডার : শুধু আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যায় না। আইনটির ৫ ধারায় ৫ ধরনের প্রতিকার পদ্ধতির কথা নির্দিষ্ট করা আছে। বলা হয়েছে যে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ঠিক এই ৫ ভাবেই দেওয়া যেতে পারে। উক্ত ৫ প্রকার একেবারে ঠোটস্থ রাখতে হবে। এই বেসিক ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণার জন্য উদাহরণসহ আলোচনাটি পড়ে রাখুন এখানেই - প্রথমত, কোনো সম্পত্তির দখল গ্রহণ এবং দাবিদারকে অর্পণ। উদাহরণ দিয়ে বুঝি। ধরা যাক, লাবিব একটি বাড়ির স্বত্ব দাবিদার। কিন্তু সেই বাড়ির দখল গ্রহণ করে আছে মিলন। অগত্যা লাবিব আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং আদালতের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে বাড়িটির স্বত্ব তার। এক্ষেত্রে আদালত প্রথমে, মিলনের নিকট থেকে বাড়িটির দখল গ্রহণ করবে এবং তা লাবিবের নিকট অর্পণ করবে। এভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, কোনো পক্ষ যা করতে বাধ্য তা করতে বাধ্য করার মাধ্যমে। আমরা আগেই বলেছি আইনগতভাবে কোনো কিছু করতে বাধ্য হওয়াকেই বাধ্যবাধকতা বলে। ধরা যাক, মিলন, লাবিবের একটি বাড়িতে থাকার উদ্দেশ্যে ভাড়া নেয়। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিতে মিলন ভাড়া বাবদ ৪০০০ টাকা প্রদান করতে সম্মত হয়। এখন মিলন আইনগতভাবে বাধ্য লাবিবকে সেই টাকা প্রদানে। তাকে সেই টাকা প্রদান করতে বাধ্য করাটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার পাবার আরেকটি মাধ্যম। এটিই ৫ ধারার খ উপধারায় বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, কোনো পক্ষ আইনগতভাবে যা না করার জন্য বাধ্য তাকে সেই কাজ থেকে বিরত রাখা। ৬ ধারাতেও মূলত এ বিষয়েই বলা আছে। সাধারণভাবে অন্যের জমির উপরে নিজের স্থাপনা তৈরী করা বেআইনি। অর্থাৎ অন্যের জমিতে নিজের স্থাপনা তৈরী না করতে আমরা আইনগতভাবে বাধ্য। এমন কাজ থেকে বিরত রাখার ব্যপারে এই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়। এটিই ৫ এর গ উপধারার মূল কথা। চতুর্থত, ঘোষণামূলক ডিক্রি বা আইনগত অধিকার ঘোষণার মাধ্যমে। দলিল সংশোধন, চুক্তি বাতিল, দলিল ঘোষণা বা বাতিলের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতিকার দেওয়া যায়। এটিই ঘ উপধারার মূল কথা। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ৩১ থেকে ৪২ পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত বোঝা যাবে। পঞ্চমত, রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে। অর্থাৎ কোনো বিবাদমান সম্পত্তিতে বিবাদ নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত সেই সম্পত্তির সুষ্ঠু দেখভাল এবং সংরক্ষণের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষকে দ্বায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যেতে পারে। এটিই ঙ উপধারার মূল কথা।]
সঠিক উত্তর : আর্থিক ক্ষতিপূরণ ; [ধারা : ৫, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন। রিমাইন্ডার : শুধু আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যায় না। আইনটির ৫ ধারায় ৫ ধরনের প্রতিকার পদ্ধতির কথা নির্দিষ্ট করা আছে। বলা হয়েছে যে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ঠিক এই ৫ ভাবেই দেওয়া যেতে পারে। উক্ত ৫ প্রকার একেবারে ঠোটস্থ রাখতে হবে। এই বেসিক ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণার জন্য উদাহরণসহ আলোচনাটি পড়ে রাখুন এখানেই - প্রথমত, কোনো সম্পত্তির দখল গ্রহণ এবং দাবিদারকে অর্পণ। উদাহরণ দিয়ে বুঝি। ধরা যাক, লাবিব একটি বাড়ির স্বত্ব দাবিদার। কিন্তু সেই বাড়ির দখল গ্রহণ করে আছে মিলন। অগত্যা লাবিব আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং আদালতের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে বাড়িটির স্বত্ব তার। এক্ষেত্রে আদালত প্রথমে, মিলনের নিকট থেকে বাড়িটির দখল গ্রহণ করবে এবং তা লাবিবের নিকট অর্পণ করবে। এভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, কোনো পক্ষ যা করতে বাধ্য তা করতে বাধ্য করার মাধ্যমে। আমরা আগেই বলেছি আইনগতভাবে কোনো কিছু করতে বাধ্য হওয়াকেই বাধ্যবাধকতা বলে। ধরা যাক, মিলন, লাবিবের একটি বাড়িতে থাকার উদ্দেশ্যে ভাড়া নেয়। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিতে মিলন ভাড়া বাবদ ৪০০০ টাকা প্রদান করতে সম্মত হয়। এখন মিলন আইনগতভাবে বাধ্য লাবিবকে সেই টাকা প্রদানে। তাকে সেই টাকা প্রদান করতে বাধ্য করাটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার পাবার আরেকটি মাধ্যম। এটিই ৫ ধারার খ উপধারায় বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, কোনো পক্ষ আইনগতভাবে যা না করার জন্য বাধ্য তাকে সেই কাজ থেকে বিরত রাখা। ৬ ধারাতেও মূলত এ বিষয়েই বলা আছে। সাধারণভাবে অন্যের জমির উপরে নিজের স্থাপনা তৈরী করা বেআইনি। অর্থাৎ অন্যের জমিতে নিজের স্থাপনা তৈরী না করতে আমরা আইনগতভাবে বাধ্য। এমন কাজ থেকে বিরত রাখার ব্যপারে এই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়। এটিই ৫ এর গ উপধারার মূল কথা। চতুর্থত, ঘোষণামূলক ডিক্রি বা আইনগত অধিকার ঘোষণার মাধ্যমে। দলিল সংশোধন, চুক্তি বাতিল, দলিল ঘোষণা বা বাতিলের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতিকার দেওয়া যায়। এটিই ঘ উপধারার মূল কথা। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ৩১ থেকে ৪২ পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত বোঝা যাবে। পঞ্চমত, রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে। অর্থাৎ কোনো বিবাদমান সম্পত্তিতে বিবাদ নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত সেই সম্পত্তির সুষ্ঠু দেখভাল এবং সংরক্ষণের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষকে দ্বায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া যেতে পারে। এটিই ঙ উপধারার মূল কথা।]