সঠিক উত্তর : ৩৯ ধারায় ; [ধারা : ৩৯, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন। রিমাইন্ডার : ধারাটির শিরোনাম - ‘যখন বাতিলের আদেশ প্রদান করা যাইতে পারে’। দলিল বাতিল বিষয়ে ৩৯-৪১ ধারায় আলোচনা রয়েছে। দলিল সংশোধন [ধারা ৩১-৩৪] এবং বাতিলের মধ্যে একটি সাধারণ পার্থক্য হচ্ছে, দলিল সংশোধন হয় ভুল দলিলের। অর্থাৎ পক্ষসমূহের কৃত কাজ বা প্রতারণার মাধ্যমে দলিলে ভুল থাকলে তা সংশোধনের আবেদন করতে হয়। অপর দিকে দলিল বাতিলের ক্ষেত্রে দলিলটি হতে হবে বাতিলযোগ্য প্রকৃতির। ধারটির শেষ অংশে বাতিলের প্রক্রিয়া বলা আছে। সাধারণ একটা অফিসিয়াল প্রক্রিয়া। যে অফিসে দলিলটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে আদালত তার ডিক্রির একটি কপি সেই অফিসে পাঠাবে। উক্ত অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার নিকট সংরক্ষিত নকল দলিলে সেই দলিল বাতিলের কারণ লিখে রাখবে।
অন্যদিকে, ‘যে দলিলসমূহ আংশিক বিলুপ্ত করা যাইতে পারে’ শিরোনামে থাকা ৪০ ধারা মোতাবেক একটি দলিলে যখন বিভিন্ন অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা থাকবে সে ক্ষেত্রে আদালত প্রয়োজন মনে করলে পুরো দলিল বাতিল না করে তার আংশিক বাতিল এবং আংশিক বলবৎ এর আদেশ দিতে পারে। অন্যদিকে, চুক্তি রদের ক্ষেত্রে যেমন ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করা যায় [৩৮ ধারা মোতাবেক], একইভাবে দলিল বাতিলের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণের বিধান ৪১ ধারায় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতায় দলিল বাতিলের আদেশ প্রদানের পরেও যদি মনে করে যে দলিল বাতিলের আদেশ পর্যাপ্ত প্রতিকার নয়, সেক্ষেত্রে দলিল বাতিলের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের জন্য অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারে।]
সঠিক উত্তর : ৩৯ ধারায় ; [ধারা : ৩৯, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন। রিমাইন্ডার : ধারাটির শিরোনাম - ‘যখন বাতিলের আদেশ প্রদান করা যাইতে পারে’। দলিল বাতিল বিষয়ে ৩৯-৪১ ধারায় আলোচনা রয়েছে। দলিল সংশোধন [ধারা ৩১-৩৪] এবং বাতিলের মধ্যে একটি সাধারণ পার্থক্য হচ্ছে, দলিল সংশোধন হয় ভুল দলিলের। অর্থাৎ পক্ষসমূহের কৃত কাজ বা প্রতারণার মাধ্যমে দলিলে ভুল থাকলে তা সংশোধনের আবেদন করতে হয়। অপর দিকে দলিল বাতিলের ক্ষেত্রে দলিলটি হতে হবে বাতিলযোগ্য প্রকৃতির। ধারটির শেষ অংশে বাতিলের প্রক্রিয়া বলা আছে। সাধারণ একটা অফিসিয়াল প্রক্রিয়া। যে অফিসে দলিলটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে আদালত তার ডিক্রির একটি কপি সেই অফিসে পাঠাবে। উক্ত অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার নিকট সংরক্ষিত নকল দলিলে সেই দলিল বাতিলের কারণ লিখে রাখবে।
অন্যদিকে, ‘যে দলিলসমূহ আংশিক বিলুপ্ত করা যাইতে পারে’ শিরোনামে থাকা ৪০ ধারা মোতাবেক একটি দলিলে যখন বিভিন্ন অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা থাকবে সে ক্ষেত্রে আদালত প্রয়োজন মনে করলে পুরো দলিল বাতিল না করে তার আংশিক বাতিল এবং আংশিক বলবৎ এর আদেশ দিতে পারে। অন্যদিকে, চুক্তি রদের ক্ষেত্রে যেমন ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করা যায় [৩৮ ধারা মোতাবেক], একইভাবে দলিল বাতিলের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণের বিধান ৪১ ধারায় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতায় দলিল বাতিলের আদেশ প্রদানের পরেও যদি মনে করে যে দলিল বাতিলের আদেশ পর্যাপ্ত প্রতিকার নয়, সেক্ষেত্রে দলিল বাতিলের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের জন্য অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারে।]