সঠিক উত্তর : ১,০০০ টাকা ; [আদেশ : ১৭, বিধি : ১, দেওয়ানি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : ১৭ আদেশের শিরোনাম ‘মুলতবি’। এটি বোঝার সবচে ভালো উপায় হচ্ছে- টাইম পিটিশন বোঝা। অর্থাৎ দেখবেন যে, আইনজীবীরা আদালতে মাঝে মাঝেই সময় প্রার্থনা করে থাকেন। যেমন, আজ আইনজীবী অসুস্থ, তাই সাক্ষী করা সম্ভব হচ্ছে না, বা আজ প্রয়োজনীয় দলিলাদি হাতে না থাকায় মোকদ্দমার শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায় নি, সুতরাং সময়ের প্রয়োজন ইত্যাদি। আদালতের নির্দেশে কোনো একদিন সাক্ষীর বক্তব্য শোনার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিলো, কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকায় আদালতের কাছে আবেদন জানাতে হয় যে, অদ্য সাক্ষী শোনার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও অনিবার্য কারণে আইনজীবী আজ উপস্থিত হতে পারছেন না, বিধায় সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী আরেকটি দিন নির্ধারণ করে আদালত সুবিচার করতে মর্জি হয়। এই যে সময় চাওয়া হলো, সাধারণভাবে যুক্তিসঙ্গত হলে তা আদালত সহজেই মঞ্জুর করে থাকেন। আদালত সময় মঞ্জুর করলো মানেই হলো- এটি আদালতের দিক থেকে বিচার কাজকে মূলতবি রাখা। মূলতবি রাখা হয় পরবর্তী একটি নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত। এই মূলতবি আদালত মোকদ্দমার যেকোনো পর্যায়ে করে থাকতে পারে। এই মুলতবি প্রতি পক্ষকে চূড়ান্ত শুনানির আগে মোট ৬ বারের বেশি দিতে পারবে না। এই সীমার বাইরেও মুলতবি হতে পারে যা সর্বোচ্চ আরো ৩ বারের বেশি হবে না, তবে সেরকম প্রতি মুলতবিতে খরচ দিতে হবে যা কিনা ২০০ টাকা ১০০০ টাকার ভেতর হবে [১ বিধির ৩ উপবিধি]। আবার, চূড়ান্ত শুনানির পর্যায়ে সাধারণভাবে এ রকম মুলতবিতে নিষেধ থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তা যুক্তিসঙ্গত হলে এ রকম মুলতবিও দেওয়া যাবে, তবে তা খরচাসহ ৩ বারের বেশি হবে না।]
সঠিক উত্তর : ১,০০০ টাকা ; [আদেশ : ১৭, বিধি : ১, দেওয়ানি কার্যবিধি। রিমাইন্ডার : ১৭ আদেশের শিরোনাম ‘মুলতবি’। এটি বোঝার সবচে ভালো উপায় হচ্ছে- টাইম পিটিশন বোঝা। অর্থাৎ দেখবেন যে, আইনজীবীরা আদালতে মাঝে মাঝেই সময় প্রার্থনা করে থাকেন। যেমন, আজ আইনজীবী অসুস্থ, তাই সাক্ষী করা সম্ভব হচ্ছে না, বা আজ প্রয়োজনীয় দলিলাদি হাতে না থাকায় মোকদ্দমার শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায় নি, সুতরাং সময়ের প্রয়োজন ইত্যাদি। আদালতের নির্দেশে কোনো একদিন সাক্ষীর বক্তব্য শোনার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিলো, কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকায় আদালতের কাছে আবেদন জানাতে হয় যে, অদ্য সাক্ষী শোনার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও অনিবার্য কারণে আইনজীবী আজ উপস্থিত হতে পারছেন না, বিধায় সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী আরেকটি দিন নির্ধারণ করে আদালত সুবিচার করতে মর্জি হয়। এই যে সময় চাওয়া হলো, সাধারণভাবে যুক্তিসঙ্গত হলে তা আদালত সহজেই মঞ্জুর করে থাকেন। আদালত সময় মঞ্জুর করলো মানেই হলো- এটি আদালতের দিক থেকে বিচার কাজকে মূলতবি রাখা। মূলতবি রাখা হয় পরবর্তী একটি নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত। এই মূলতবি আদালত মোকদ্দমার যেকোনো পর্যায়ে করে থাকতে পারে। এই মুলতবি প্রতি পক্ষকে চূড়ান্ত শুনানির আগে মোট ৬ বারের বেশি দিতে পারবে না। এই সীমার বাইরেও মুলতবি হতে পারে যা সর্বোচ্চ আরো ৩ বারের বেশি হবে না, তবে সেরকম প্রতি মুলতবিতে খরচ দিতে হবে যা কিনা ২০০ টাকা ১০০০ টাকার ভেতর হবে [১ বিধির ৩ উপবিধি]। আবার, চূড়ান্ত শুনানির পর্যায়ে সাধারণভাবে এ রকম মুলতবিতে নিষেধ থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তা যুক্তিসঙ্গত হলে এ রকম মুলতবিও দেওয়া যাবে, তবে তা খরচাসহ ৩ বারের বেশি হবে না।]