সঠিক উত্তর : স্যুটের ক্ষেত্রে ; [ধারা : ১৪, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : রিমাইন্ডার : ‘এখতিয়ারবিহীন আদালতে সদুদ্দেশ্যমূলক কার্যধারায় যেই সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে’ এই শিরোনামে ১৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, এখতিয়ারবিহীন কোনো আদালতে যদি মোকদ্দমা দায়ের করা হয়, তবে সেই আদালতে মোকদ্দমাটি করার জন্য যে সময় ব্যয় করা হয় তা মূল গণনা থেকে বাদ যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৩টি বিষয় প্রমাণ করতে হবে যেমন, ১. বাদীর সদবিশ্বাস, ২. মোকদ্দমার কারণের অভিন্নতা, মানে, এখতিয়ারবিহীন আদালতে যে কারণে মোকদ্দমা করা হয়েছিলো পরবর্তীতে ঠিক একই কারণে এখতিয়ারাধীন আদালতে মোকদ্দমা করা হয়েছে বা হচ্ছে; এবং ৩. প্রথমে যেই আদালতে মোকদ্দমা করা হয়েছিলো সেই আদালতের সেই মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ারের অপর্যাপ্ততা বা অনুপস্থিতি। বাড়তি করে আরো খেয়াল রাখবেন - ১৪ ধারার বিধান শুধু উপধারা ১ অনুসারে স্যুট বা মোকদ্দমা এবং উপধারা ২ অনুসারে দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। মোকদ্দমা দায়েরের পর যদি আরজি ফেরত দেওয়া হয় এবং ইতিমধ্যে তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে এখতিয়ারাবান আদালতে পুনরায় আরজি দাখিলের ক্ষেত্রে আরজির সাথে তামাদি আইনের ১৪ ধারায় বিলম্ব মওকুফের আবেদন করতে হবে।]

সঠিক উত্তর : ১২ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৩৫, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১৫৬ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৬, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : বৈধ অপরাগতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সময় বর্ধিতকরণ  ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ২২ ধারায়  ; [ধারা : ২২, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৬ ধারায়  ; [ধারা : ১৬, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : উপরের সবকটিই সঠিক ; [ধারা : ২১, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : বৈধ অপরাগতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সময় বর্ধিতকরণ ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : মৌখিক সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে ; [ধারা : ১৯, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৬৪ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৬৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৬ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১২০, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : ১২০ অনুচ্ছেদটি গুরুত্বপূর্ণ। যেক্ষেত্রে তামাদি আইনের প্রথম তফসিলে কোনো মোকদ্দমার তামাদি উল্লেখ থাকে না, সেক্ষেত্রে এর তামাদির মেয়াদ থাকে ৬ বছর। খেয়াল রাখবেন - এটি মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়েছে।]

সঠিক উত্তর : ১৯০৯ সালের ১ জানুয়ারি  ; [ধারা : ১, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১১ ধারা ; [ধারা : ১১, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৬০ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৪৮, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তি খালাস করার বা দখল পুনরুদ্ধারের জন্য বন্ধকগ্রহীতার বিরুদ্ধে তামাদি আইনের ১৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৬০ বছরের ভেতরে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয় এবং এরূপ মোকদ্দমা দায়ের করার ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে যেদিন থেকে উক্ত সম্পত্তি মুক্ত করার অথবা দখল পুনরুদ্ধার করার অধিকারের উদ্ভব হয়, সেদিন থেকে।]

সঠিক উত্তর : হাইকোর্ট কর্তৃক মূল দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়োগকালীন সময়ে প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে তামাদির মেয়াদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১০৯ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১০৯, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ২ এর ৭  উপধারায়  ; [ ধারা ২ এর ৭ উপধারায় সরল বিশ্বাসের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১২ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৪৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৯০ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৬, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : রায় এবং ডিক্রির জাবেদা নকল পেতে ব্যয়িত সময় ; [ধারা : ১২, তামাদি আইন।]

সঠিক উত্তর : স্যুটের ক্ষেত্রে ; [ধারা : ১৪, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : ‘এখতিয়ারবিহীন আদালতে সদুদ্দেশ্যমূলক কার্যধারায় যেই সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে’ এই শিরোনামে ১৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, এখতিয়ারবিহীন কোনো আদালতে যদি মোকদ্দমা দায়ের করা হয়, তবে সেই আদালতে মোকদ্দমাটি করার জন্য যে সময় ব্যয় করা হয় তা মূল গণনা থেকে বাদ যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৩টি বিষয় প্রমাণ করতে হবে যেমন, ১. বাদীর সদবিশ্বাস, ২. মোকদ্দমার কারণের অভিন্নতা, মানে, এখতিয়ারবিহীন আদালতে যে কারণে মোকদ্দমা করা হয়েছিলো পরবর্তীতে ঠিক একই কারণে এখতিয়ারাধীন আদালতে মোকদ্দমা করা হয়েছে বা হচ্ছে; এবং ৩. প্রথমে যেই আদালতে মোকদ্দমা করা হয়েছিলো সেই আদালতের সেই মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ারের অপর্যাপ্ততা বা অনুপস্থিতি। বাড়তি করে আরো খেয়াল রাখবেন - ১৪ ধারার বিধান শুধু উপধারা ১ অনুসারে স্যুট বা মোকদ্দমা এবং উপধারা ২ অনুসারে দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। মোকদ্দমা দায়েরের পর যদি আরজি ফেরত দেওয়া হয় এবং ইতিমধ্যে তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে এখতিয়ারাবান আদালতে পুনরায় আরজি দাখিলের ক্ষেত্রে আরজির সাথে তামাদি আইনের ১৪ ধারায় বিলম্ব মওকুফের আবেদন করতে হবে।]

সঠিক উত্তর : ১৩ ধারা    ; [ধারা : ১৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ২৫ ধারা ; [ধারা : ২৫, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৩৫ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৩৫, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৯১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৬, ৭, ৮ ও ৯ ধারায় ; [ধারা : ৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : তামাদি আইনের ৬, ৭, ৮ ও ৯ ধারায় আইনগত অক্ষমতার সমস্ত দিক একে একে বলা বিধৃত আছে।]

সঠিক উত্তর : ১৬৩ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৬৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১২ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৮৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ২০ দিন ; [অনুচ্ছেদ : ১৫১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১৯০৮ সাল  ; [ধারা : ১, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৩০ দিন ; [অনুচ্ছেদ : ১৫২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : তফসিলটির ১৫০ থেকে ১৫৭ পর্যন্ত ‘আপিল’ শিরোনামে দেওয়ানি ও ফৌজদারি  উভয় প্রকার মামলার আপিলের ক্ষেত্রে তামাদির বিধান বর্ণিত আছে। এই অনুচ্ছেদগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, এই অংশে বর্ণিত ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে বর্ণিত বিষয়গুলো। কেননা, আমরা সাধারণভাবে জানি যে, ফৌজদারি মামলায় তামাদির বিধান প্রযোজ্য হয় না। কিন্তু এখানে কিছু ব্যতিক্রম আছে। যাইহোক, আলোচ্য প্রশ্নটি সম্পর্কিত ১৫২ অনুচ্ছেদটি দেখে রাখবেন।]

সঠিক উত্তর : ৩০ দিন ; [অনুচ্ছেদ : ১৭০, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : নাবালক  ; [ধারা : ৬, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : বিবাদীর দেশের বাহিরে থাকার সময়  ; [ধারা : ১৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৪২ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৪২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : আমরা জানি, স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধারের বিষয় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারার বিষয়বস্তু। মালিকানাসহ দখল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ৮ ধারা এবং শুধু দখল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ৯ ধারা প্রযোজ্য। এদিকে তামাদি আইনের ১৪২ অনুচ্ছেদটি দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমার তামাদির মেয়াদ নির্দিষ্ট করেছে, যা কার্যত মালিকানাসহ দখল পুনরুদ্ধার তথা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারাকে নির্দেশ করেছে। সম্পত্তি বেদখল হবার দিন থেকে পরবর্তী ১২ বছরের মধ্যে এই ধরনের মোকদ্দমা করা যাবে। অন্যদিকে ৯ ধারা অনুসারে শুধু দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা করার জন্য ৬ মাস তামাদি মেয়াদ, যা কিনা তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ৩ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।]

সঠিক উত্তর : ১২ ধারা ; [ধারা : ১২, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৩০ দিন ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৬ মাস ; [অনুচ্ছেদ : ৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল।  রিমাইন্ডার : দখল পুনরুদ্ধার করা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার বিষয়বস্তু। উক্ত আইনে তামাদির বিধান যুক্ত করা নেই। এটি তামাদি আইনের ৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে। এটি খুবই কমন ও বেসিক প্রশ্ন।]

সঠিক উত্তর : ৭ ধারা ; [ধারা : ৭, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : বর্ণিত সবগুলোই সঠিক ; [ধারা : ১৯, তামাদি আইন, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : অগ্রক্রয়ের মামলায়  ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : আইনানুগ কার্যধারায় যে সময় তামাদির গণনা থেকে বাদ দিতে হয় ; [ধারা : ১২, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ২২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১৫ ; [অনুচ্ছেদ : ১৬১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : অর্থ আদায়ের মামলার ক্ষেত্রে ; [ধারা : ২০, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : মূল ফৌজদারি মোকদ্দমায় ; [তামাদি আইনের প্রস্তাবনা। রিমাইন্ডার : তামাদি আইনের বিধান মূল ফৌজদারি মোকদ্দমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ ফৌজদারি মূল মামলা দায়েরের নির্ধারিত কোনো তামাদির মেয়াদ নেই। মামলার কারণ উদ্ভবের সময়ের পরে ফৌজদারি মূল মামলা যেকোনো সময় দায়ের করা যায়। যেমন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বহু বছর পরে শুরু হয়ে বর্তমানে চলমান রয়েছে, যদিও Justice delayed is justice denied কথাটি প্রচলিত আছে। তবে এটি ন্যায় বিচারকে ক্ষুণœ করলেও বিচারের ক্ষেত্রে আইনি বাধা নেই। যাইহোক, আমরা যদি তামাদি আইনের প্রস্তাবনার দিকে লক্ষ্য করি, দেখতে পাবো সেখানে বলা আছে যে, দেওয়ানি মোকদ্দমা, আপিল ও বিভিন্ন দরখাস্ত দাখিলের মেয়াদ সম্পর্কিত আইনের প্রয়োজনে তামাদি আইন প্রণীত হয়েছে। প্রস্তাবনায় উদ্দেশ্য হিসেবে ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ নেই। ফলে, ফৌজদারি মূল মোকদ্দমায় তামাদির বিধান প্রযোজ্য হয় না - এটি সঠিক উত্তর। তবে, এটিও স্মরণে রাখা দরকার যে, ফৌজদারি আপিল ও অন্যান্য কিছু দরখাস্তের ক্ষেত্রে তামাদির বিধান রয়েছে। তামাদির অনুচ্ছেদগুলোর কয়েকটি এমন বিষয়বস্তু পাওয়া যায়, আবার ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিভিন্ন ধারাতেই তামাদির সময় উল্লেখ করা আছে।]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [ধারা : ৮, তামাদি আইন] তামাদি আইনের ১ম তফসিলের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সত্ত্বসহ দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে হয় বেদল হওয়ার  ১২ বছরের মধ্যে। কিন্তু যেহেতু জহির উন্মাদ ব্যক্তি অর্থাৎ আইনগত অপারগতায় পতিত তাই তার সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে না। প্রশ্নমেত সে বেদল হওয়ার ১০ বৎসর পর সুস্থ হয়েছে তাই হিসাব অনুযায়ী তার মোকদ্দমা দায়েরের তামাদির মেয়াদ যদিও অবশিষ্ট আছে ২ বছর কিন্তু ৬ ও ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী তামাদির মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩ বৎসর করা যাবে। অর্থাৎ সে সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা করতে পারবে।

সঠিক উত্তর : ১ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১১৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৭ দিন ; [অনুচ্ছেদ : ১৫০, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১৮৫৯ সালে; [তামাদি আইনের ইতিহাস। রিমাইন্ডার : আমরা জানি, তামাদি আইনটি ১৯০৮ সালের আইন। কিন্তু, এরও আগে ১৮৫৯ সালে এটি সর্বপ্রথম পাশ হয়ে ১৮৬২ সালে কার্যকর হয়েছিলো। তবে, এই আইনেরও অনেক সীমাবদ্ধতা বা অপূর্ণতা ছিলো বিধায় সেটিকে নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয় ১৯০৮ সালে। প্রশ্নে ‘সর্বপ্রথম’ শব্দটির কারণে উত্তরটি ১৯০৮ না হয়ে ১৮৫৯ হবে।]

সঠিক উত্তর : ৩০ ; [অনুচ্ছেদ : ১৬৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মামলা করার অনুমতির জন্য দরখাস্ত পেশ করা হলে  ; [ধারা : ৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৫৪ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৩৯, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ডিক্রি অমান্য করার তারিখ হতে ; [ধারা : ১২, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : প্রশ্নে একটি দরখাস্ত দাখিলের মেয়াদ কখন থেকে গণনা করা হবে তাই জানতে চাওয়া হয়েছে। তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের তৃতীয় কলাম থেকে বোঝা যায় Cause of Action বা নালিশের কারণ যেদিন থেকে আরম্ভ হয় সেদিন থেকেই মেয়াদকাল গণনা শুরু করতে হয় এবং ১২ ধারা অনুসারে যেদিন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হয় সেই দিনটি বাদ দিতে হয়। এখানে যেহেতু ডিক্রি জারির জন্য দরখাস্তের কথা বলা হয়েছে তাই মেয়াদ গণনা শুরু হবে যেদিন থেকে ডিক্রি অমান্য করা হয়েছে সেদিন থেকে।]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১০৯, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৯, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : অপারগতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া দায়মুক্ত করা গেলে ; [ধারা : ৭, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : বর্ণিত সবগুলোই সঠিক ; [ধারা : ৫, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : মোকদ্দমার কোনো দরখাস্ত  ; [ধারা : ২ এর ১০ উপধারা, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৬ মাস ; [অনুচ্ছেদ : ১৭৫, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১১৪ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১১৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : বর্ণিত সবকটিই সঠিক ; [ধারা : ৫, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : নতুন করে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে  ; [ধারা : ২০, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৪০, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : বর্ণিত যেকোনো দিন থেকে  ; [ধারা : ১৮, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : স্থগিত থাকবে না ; [ধারা : ৯, তামাদি আইন] তামাদি আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে তামাদি মেয়াদ গণনা একবার আরম্ভ হলে এটা আর স্থগিত হয় না। যেহেতু করিম সুস্থ থাকা অবস্থায় মোকদ্দমা করার অধিকার অর্জন করেছে সুতরাং তখন থেকেই তার তামাদি গণনা শুরু হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আর কোনো অপারগতার কারণে তামাদি গণনা স্থগিত হবে না।

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ১৮২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : দেওয়ানি আদালতের ডিক্রি জারি বা আদেশ সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারায় কোনো বিধান নাই। সেই ডিক্রি জারি বা আদেশ কার্যকরী করার জন্য যে দরখাস্ত করতে হবে তার মেয়াদ ঐ ডিক্রি বা আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৩ বছর; তবে ঐ ডিক্রি বা আদেশটির সইমোহরকৃত নকল যদি রেজিস্ট্রি করা হয় সেক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৬ বছর। মেয়াদ গণনা শুরু করতে হবে :

১. ডিক্রি বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে; ২. আপিল হয়ে থাকলে আপিল আদালতের চূড়ান্ত ডিক্রি বা আদেশ এর তারিখ অথবা আপিল প্রত্যাহারের তারিখ থেকে; ৩. রায় রিভিউ করা হয়ে থাকলে রিভিউ বা পুনঃনিরীক্ষণের তারিখ থেকে; ৪. ডিক্রি সংশোধন হয়ে থাকলে সংশোধনের তারিখ থেকে; ৫. উপযুক্ত আদালতে (যে আদালতের কর্তব্য হচ্ছে ডিক্রি জারি বা আদেশ কার্যকর করা) ডিক্রি জারির সুবিধার্থে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দরখাস্ত করা হয়ে থাকলে সে সম্বন্ধে চূড়ান্ত আদেশের তারিখ থেকে, ইত্যাদি। অন্যদিকে, এর ঠিক পরের অনুচ্ছেদ ১৮৩ মোতাবেক হাইকোর্ট কর্তৃক সাধারণ আদিম দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়োগকালে প্রদত্ত রায়, ডিক্রি, আদেশ বা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কার্যকর করার জন্য দরখাস্তের ক্ষেত্রে মেয়াদ ১২ বছর।]

সঠিক উত্তর : অবিরাম চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে   ; [ধারা : ২৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৩১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৯২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : যখন মোহরানা দিতে অস্বীকার করা হয়েছে  ; [অনুচ্ছেদ : ১০৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : চুক্তি আইন, ১৯৭২ এর ২৫ ধারার ক্ষেত্রে ; [ধারা : ২৯, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : এই ধারাটির শিরোনাম - ‘সংরক্ষণ’। সাধারণত বেশিরভাগ মূল আইনে সংরক্ষণ নামে একটি ধারা থাকে। এই ধরনের ধারায় মূলত একটি আইনের প্রয়োগযোগ্যতা সম্পর্কে বেসিক কিছু ধারণা দেওয়া থাকে। কিংবা আরেকটু বিস্তৃত করে বললে বলা যায় যে, এই ধরনের ধারায় ‘Special law prevails over general law’ বা ‘সাধারণ আইন বিশেষ আইনকে প্রভাবিত করবে না’ নীতির প্রতিফলন থাকে। দণ্ডবিধির ৫ ধারা অথবা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫ ধারা ইত্যাদি এর উদাহরণ। অন্যান্য আইনে সাধারণত সংরক্ষণ সংক্রান্ত ধারাটি আইনের প্রাথমিক বা শুরুর অধ্যায়ে থাকে। কিন্তু তামাদি আইনের ক্ষেত্রে আইনটির শেষ কার্যকর ধারায় এটি বর্ণিত আছে। এটি থেকে ধারাভিত্তিক প্রশ্ন আসতে পারে। ধারাটিতে থাকা অন্যান্য তথ্য থেকে সমরূপ প্রশ্ন আসতে পারে।]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর ; [অনুচ্ছেদ : ৪২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ১৫১ অনুচ্ছেদ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫১, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : হাইকোর্ট ভিন্ন অন্য যেকোনো ফৌজদারি আপিল আদালতে আপিল সংক্রান্ত ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৪, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : আদালত পুনরায় খোলার দিন মামলা, আপিল বা দরখাস্ত দায়ের করবেন; [ধারা : ৪, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : নিরবিচ্ছিন্নভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে ও অধিকার হিসাবে ২০ বছর ব্যবহার ; [ধারা : ২৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : কোনো বর্তস্বত্ত্ব বা সুখাধিকার অর্জনের প্রধানতম শর্তই হলো তা নিরবিচ্ছিন্নভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে এবং অধিকার হিসেবে ২০ বছর অন্তত ব্যবহার করতে হবে। তামাদি আইনের ২৬ ধারার বিষয়বস্তু এটি।]

সঠিক উত্তর : ১৭ ধারায়  ; [ধারা : ১৭, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : বর্ণিত সবগুলোই সঠিক ; [অনুচ্ছেদ : ৭, ১০ ও ১২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৩ বছর  ; [অনুচ্ছেদ : ১৮২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৬ মাস ; [অনুচ্ছেদ : ৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : দখল পুনরুদ্ধার করা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার বিষয়বস্তু। উক্ত আইনে তামাদির বিধান যুক্ত করা নেই। এটি তামাদি আইনের ৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে। এটি খুবই কমন ও বেসিক প্রশ্ন।]

সঠিক উত্তর : প্রতারণা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার দিন থেকে ; [ধারা : ১৮, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : ধারাটির শিরোনাম - ‘প্রতারণার ফলাফল [ঊভভবপঃ ড়ভ ভৎধঁফ]’। যখন একজন ব্যক্তিকে তার বৈধ অধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রতারণামূলকভাবে তাকে সে বিষয়ে জানতে না দিয়ে প্রতারণা করা হয় তখন সেটাকে তামাদি আইনে প্রতারণা বলা হয়। কিন্তু এই ধরনের প্রতারণা করে বাস্তবে কোনো সুবিধা করতে পারেন না কোনো প্রতারণাকারী। কেননা, এই ধরনের প্রতারণা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই তামাদি আইনের ১৮ ধারাটির উদ্ভব। এই ধারাটিতেই তামাদির ওপর প্রতারণার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা বিধৃত আছে। ধারামতে, কেউ যদি কারো প্রতারণার কারণে তার কোনো অধিকারের দাবি করা থেকে বঞ্চিত থাকে তবে তার তামাদির মেয়াদ প্রকৃতপক্ষে শুরুই হবে না। তবে যখন থেকে উক্ত ব্যক্তি তার প্রতি প্রতারণামূলক গোপন বা তাকে অজ্ঞাত রাখা সম্পর্কে জানতে পারে তখন থেকে অথবা দলিলের ক্ষেত্রে যেদিন দলিলটি আদালতে উপস্থাপনে সমর্থ হয়, বা তা উপস্থাপনে বাধ্য করতে পারে সেই দিন থেকে মোকদ্দমা রুজু বা আবেদন পেশের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু করতে হবে। ধারাভিত্তিক প্রশ্ন আসার সমূহ সম্ভাবনা আছে এখান থেকে।]

সঠিক উত্তর : ৩০ ; [অনুচ্ছেদ : ১৫২, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : যেদিন বাদী স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলো   ; [ধারা : ২২, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ; [অনুচ্ছেদ : ১৫০, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল। রিমাইন্ডার : তামাদি আইনের প্রস্তাবনাতেই বলা হয়েছিলো যে, দেওয়ানি মোকদ্দমার সময় সম্পর্কিত বিষয়সমূহ এর বিষয়বস্তু বা এর পরিধি। কিন্তু তামাদি আইনের প্রথম তফসিলে ১৮৩টি অনুচ্ছেদের ভেতরে ১৫০ থেকে ১৫৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত কয়েকটি অনুচ্ছেদ সরাসরি ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয় এমন কিছু বিষয়ের তামাদি বর্ণনা করা আছে। তফসিলটির দ্বিতীয় বিভাগ এর এই অংশের শিরোনাম ‘আপিল’। তার মানে এখানে আপিল সংক্রান্ত বিষয়ের তামাদির মেয়াদ বর্ণিত আছে। অনুচ্ছেদগুলোর ভেতরে ১৫০, ১৫৪, ১৫৫ এবং ১৫৭ - এই চারটি অনুচ্ছেদে ফৌজদারি মামলার আপিলের তামাদি মেয়াদ উল্লেখ করা আছে। উপরোক্ত প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত ১৫০ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আলোচ্য প্রশ্নটিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল ব্যতীত অন্যান্য অপশনগুলোতে তামাদির কোনো বিধান নেই। যাইহোক, এই প্রশ্নটির উছিলায় আমরা অন্য ৩টি অনুচ্ছেদ সম্পর্কেও কিছু ধারণা রাখতে পারি। ১৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতাধীন হাইকোর্ট ব্যতীত অন্য যেকোনো আপিল আদালতে আপিল করার সাধারণ বিধান হলো পরবর্তী ৩০ দিনের ভেতরে। ১৫৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ১৫০ ও ১৫৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিষয়াবলী বাদ দিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির আওতাধীন হাইকোর্টে আপিলের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের ভেতরে তা করতে হবে। ১৫৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল পরবর্তী ৬ মাসের ভেতরে দায়ের করতে হবে। তামাদি আইনের এই ৪টি অনুচ্ছেদ পড়ার সময় ফৌজদারি আপিল সংক্রান্ত ধারাগুলোর সাথে মিলিয়ে পড়ে নেবেন।]

সঠিক উত্তর : বাধ্যতামূলক  ; [ধারা- ৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৬০ বছরের ; [ধারা : ২৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : এই প্রশ্নটির বিস্তারিত ব্যাখ্যার পূর্বে দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব বলতে কী বোঝায় সেটি বুঝে নেয়ার প্রয়োজন। দখলের দ্বারা মালিকানা অর্জন করা যায় - এটি আইনের অতি সুপ্রতিষ্ঠিত একটি নীতি। দখলজনিত স্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্বের অধিকার এর সংজ্ঞা তামাদি আইনের ২ ধারার ৫ উপধারায় বর্ণিত আছে। দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব হলো এমন এক ধরনের অধিকার যা কোনো চুক্তির ফলে উদ্ভুত হয়না, কিন্তু যেটির দ্বারা কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন জমি, জমির কোনো অংশ, ফসল বা তাতে সংযুক্ত বা অবাঞ্ছিত কোনো কিছু অপসারণ ও ব্যবহার করার অধিকার লাভ করে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে শর্তাধীনে বা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অপর কোনো ব্যক্তির জমি [জমিতে সংযুক্ত কোনো কিছু যা আলো-বাতাসকে-জলস্রােত ইত্যাদিকেও অন্তর্ভুক্ত করে] ব্যবহারের অধিকার লাভ করে তা স্থায়ী করে ফেলে, তখন সেটিকেই বলা হয় দখলস্বত্ব বা ব্যবহারস্বত্ব। তামাদি আইনের ২৬ ধারার শর্তসমূহ পূরণসাপেক্ষে এই দখলস্বত্ব অর্জন করা যায়। ২৬ ধারাটির শিরোনাম - ‘সুখাধিকারসমূহ অর্জন [অপয়ঁরংরঃরড়হ ড়ভ ৎরমযঃ ঃড় বধংবসবহঃং]’। ধারাটির মূল কথা হলো - কোনো ব্যক্তি যদি কোনো পথ, পানি, কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আলো-বাতাস ইত্যাদি আপন অধিকারে অব্যাহতভাবে বা নিরবিচ্ছিন্নভাবে, প্রকাশ্যে ও শান্তিপূর্ণভাবে ২০ বছর ধরে ভোগ করে তবে এই ভোগ করার অধিকার স্থায়ী অধিকারে পরিণত হবে। এই বিষয়গুলো প্রমাণ করতে পারলে, যারা সুখাধিকার দাবি করেছেন, আদালত তাদের অনুকূলে সুখাধিকার ভোগের রায় প্রদান করবে। তবে যার সম্পত্তিতে এই সুখাধিকার দাবি করা হচ্ছে তিনি যদি ২০ বছরের মধ্যে একটি দিনেরও প্রমাণ দিতে পারেন, যেদিন তিনি এই অধিকারগুলো ভোগে বাধা দিয়েছেন বা তার অনুমতি সাপেক্ষেই এতদিন তারা এই অধিকার ভোগ করেছে তবে আদালত সুখাধিকারের আবেদন গ্রাহ্য করবে না। ২০ বছরের হিসেবটি কোনো বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু তা কোনো সরকারি সম্পত্তি হলে ৬০ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশ্য ব্যবহার হিসেবে প্রমাণ করতে হবে।]

সঠিক উত্তর : আরজিটি উপযুক্ত কর্মকর্তার নিকট দাখিল করা হলে  ; [ধারা : ৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ১৭৬ ; [অনুচ্ছেদ : ১৭৬, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৬০ বছর নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহারের ফলে ; [ধারা : ২৬, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ৯ ধারায় ; [ধারা : ৯, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : ২ এর ৪  উপধারায়  ; [ ধারা ২ এর ৪ উপধারায় বিবাদীর সংজ্ঞা দেওয়া আছে, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : চেক ও হুন্ডি উভয়ই বোঝায়  ; [২ এর ২ উপধারায় বলা হয়েছে ‘বিনিময় পত্র’ বলতে হুন্ডী এবং চেক বোঝাবে।]

সঠিক উত্তর : স্যুটের ক্ষেত্রে ; [ধারা : ৫, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : ৫ ধারা পড়তে গিয়ে অনেকেই এর একটা মেজর বৈশিষ্ট্য মিস করে ফেলেন বা চোখ এড়িয়ে যায়। তামাদির মেয়াদ বৃদ্ধি বিষয়ে ৫ ধারায় আলাপ করা হলেও এটা শুধু ১. আপিল, ২. রিভিউ, ৩. রিভিশন, ৪. লিভ টু আপিল ও ৫. অন্য কোনো আইনের দরখাস্তে যেখানে উক্ত ধারাটি প্রযোজ্য হবার কথা বলা আছে সেসব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগযোগ্য। মূল মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে এই ৫ ধারাটি প্রযোজ্য নয়। অনেকে শিরোনাম দেখেই ভেতরটা মনোযোগ দিয়ে পড়েন না। ভাবেন যে, মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রেও তামাদির মেয়াদ চলে যাবার পরেও উপযুক্ত সন্তোষজনক কারণ দেখিয়ে তামাদির মেয়াদ বাড়ানো যায়। একেবারে খাসা করে মনে রাখেন যে, মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে নয়, শুধু উল্লি­খিত ৫টি ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ বাড়ানো যায়। প্রশ্নটিতে এখানে স্যুট বলতে মূল দেওয়ানি মোকদ্দমা বোঝানো হয়েছে। এই ৫ ধারা অনুসারেই কোনো তামাদির বিলম্ব মওকুফ করার আবেদন করতে হয়।]

সঠিক উত্তর : হাইকোর্টে কোনো ফৌজদারি আপিল সংক্রান্ত ; [অনুচ্ছেদ : ১৫৫, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : ৩০ ; [অনুচ্ছেদ : ১৬৩, তামাদি আইনের প্রথম তফসিল]

সঠিক উত্তর : বৈধ অপারগতার ক্ষেত্রে সময়ের অবিরাম চলন ; [ধারা : ৯, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : তামাদির মেয়াদ অন্তে দায়েরকৃত মোকদ্দমা খারিজ ; [ধারা : ৩, তামাদি আইন]

সঠিক উত্তর : Z এর নাবালকত্বের অবসান হবে ; [ধারা : ৬, তামাদি আইন। রিমাইন্ডার : ৬ ধারা অনুযায়ী ৩টি বিষয়কে আইনগত অক্ষমতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যথা, ১. নাবালক [Minor] ২. উন্মাদ [Insane] এবং ৩. জড়বুদ্ধি বা চরম বুদ্ধিহীনতা [An idiot]। এই তিন ধরনের অপারগতাসম্পন্ন কেউ তার অপারগতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার মোকদ্দমা বা কোনো দাবি তোলার তামাদির মেয়াদ শুরুই হবে না এবং অপারগতা শেষ হলে তামাদি গণনা শুরু হয়ে পরবর্তী ৩ বছরের ভেতর সে তার দাবি তুলতে পারবে - এই হলো অপরাগতা সম্পর্কে বেসিক ধারণা। এর সাথে সম্পর্কিত ধারণাগুলো ৭, ৮ এবং ৯ ধারায় আরো বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।]