অনলাইন জুম ক্লাসে

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

২৪ জুন থেকে শুরু

তথ্য জানতে / ভর্তি হতে : 01309-541565

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের রিভিউ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে গত 31 অক্টোবর রাতে আন্দোলনকারীদের সম্মুখে এসে দেওয়া লার্নেড নজিবুল্লাহ হিরু স্যারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বার কাউন্সিল পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষার ফরম ফিলআপ প্রসঙ্গে অনেকেই কনফিউজ হয়ে আছেন। আমাকে ক্রমাগত নক করছেন ফেসবুকে অথবা ফোন করে। তাদের জন্য একটি নির্দেশনামূলক লেখা দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য এই লেখার অবতারণা।

গত 31 অক্টোবর রাতে নজিবুল্লাহ স্যারের বক্তব্যে [বক্তব্যটি পাবেন এই লিংকে] অনেকেই তার এই বক্তব্যে কনফিউজড হয়েছেন। আসলে ভালো করে বিশ্লেষণ করলে কনফিউশনের কিছু নেই। আপনাদের জন্য সবচে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি লাইন এখানে লিখেই দেই। আপনারা সবাই এখন ঘরে গিয়া রিটেন পরীক্ষার প্রিপারেশন নেবেন। রিটেন পরীক্ষা আপনাদের খুব দ্রুত যদি দিতে চান, আমরা চেষ্টা করবো ফেব্রুয়ারির ভেতরে আপনাদের রিটেন নিয়ে নেওয়ার জন্য”।

এরই মধ্যে গত10 নভেম্বরে বাংলা ট্রিবিউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনলাইনে আবার একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বার কাউন্সিল যে আগামী 2019 সালের একেবারে শুরুতেই বার কাউন্সিল এডভোকেট তালিকাভুক্তির পরীক্ষা নিয়ে নেবে সে সম্পর্কে খবর রয়েছে। পুরো খবরটি এই লেখারই নিচে হুবহু তুলে দেওয়া থাকলো। চাইলে সরাসরি এই লিংক থেকেও পরে পড়ে নিতে পারেন : 10 নভেম্বরের নিউজ লিংক

তাহলে পরীক্ষা নিয়ে কনফিউশনটিই প্রথমে একটু দেখে নিই।

প্রথম কনফিউশন : আগামী পরীক্ষা কবে? ফেব্রুয়ারিতে?? এটা কি সম্ভব?
নজিবুল্লাহ স্যারের কথায় একটি ইশারা পাওয়া গেলো যে, ফেব্রুয়ারিতেই লিখিত পরীক্ষা নেবার সম্ভাবনা! তার মানে জানুয়ারিতে অন্তত এমসিকিউ পরীক্ষা নেবার সম্ভাবনা! কিন্তু এটা কি আদৌ সম্ভব?! আমি এখানে এর একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ করতে চাই।

আগামী 20 নভেম্বর থেকে যারা মাসব্যাপী ফরম ফিলআপ করবেন তারা মূলত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে জমতে থাকা শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ। এদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তাদের ফরম ফিলআপ সারতে মাসাধিককাল সময় লাগবে। অন্যদিকে গত পরীক্ষায় ফেল করা এমসিকিউ শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় 23 হাজার। তাদেরকেও ফরম ফিলআপ করতে হবে। তাদের জন্যও নোটিশ আসবে এবং তাদের কাজগুলোও প্রসেস করতে হবে বার কাউন্সিলকে। অন্যদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তালিকা সংক্রান্ত জটিলতা থাকেই কমবেশি! সেসমস্ত জটিলতা দূর করা এবং তাদেরকে পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলআপ করার জন্য নোটিশ দিতে হবে। তার মানে, এই তিন স্তরে ফরম ফিলআপ দুইদফায় সারতে গেলেও অন্তত জানুয়ারি মাস পুরোটা লেগে যাবে।

কাজ এখানেই শেষ নয়। এরওপরে আনুমানিক 50 হাজার শিক্ষার্থীর এডমিট কার্ড সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিতে হবে বার কাউন্সিলকে। এটিও সময়সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রেও আরো একমাস অন্তত লাগবে।

আরো জেনে থাকবেন যে, বার কাউন্সিলের লোকবল সংকট রয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়াগুলো খুব অল্প সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে করে থাকেন। ফলে চাইলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো প্রসেস করা সম্ভব হয়না তাদের আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও।

তাহলে পরীক্ষার ডেট কবে পেলেন? হিসেবে করেছেন? আমার মতে আনুমানিক এপ্রিল মাসের আগে হচ্ছে না। খুব সম্ভাবনা আছে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যেকোনো সময় এমসিকিউ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। এটিই আমার বিবেচনা।

দ্বিতীয় কনফিউশন : 2017 সালের এমসিকিউ পাশ করা শিক্ষার্থীরা এবার সরাসরি লিখিত পরীক্ষা দেবেন?
এবারের ফেল করা শিক্ষার্থীরা তথা 2017 সালের এমসিকিউ পরীক্ষায় যারা পাস করে লিখিত পরীক্ষায় এসে ফেল করেছেন, তাদেরকে পরবর্তী এমসিকিউ দিতে হবেনা; সরাসরি তারা পরবর্তী বা আগামী পরীক্ষার সময় লিখিত পরীক্ষায় এটেন্ড করবেন। আপনারা খেয়াল করবেন, উনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ‘আপনারা সবাই এখন ঘরে গিয়া রিটেন পরীক্ষার প্রিপারেশন নেবেন’। উনি তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেছেন। উপরন্তু গেজেট প্রকাশ ঠিক পরের সপ্তাহেই হবে বলে জানালেও আজ প্রায় দুই মাস গড়িয়ে গেলেও এখনো খবর নাই। তাহলে কি তা নির্বাচনের পরে হবে? হয়তো!! তবুও মন আশাবাদী থেকে যেতে চায়।

তৃতীয় কনফিউশন : রেজিস্ট্রেশন কার্ড না পেলে করণীয়
এরকম অনেক পরিচিত শিক্ষানবিশ আছেন, যারা কিনা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে প্রায় দেড় বছর হতে চললো, তারা ইন্টিমেশন জমা দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাননি। তারা বার কাউন্সিলের সর্বশেষ নোটিশে কনফিউজ হয়ে পড়েছেন – তবে কি তারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না?

তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটাই বার কাউন্সিলের শেষবারের মতো ফরম ফিলআপ হচ্ছে না। তবে একটি ছোট্ট কিন্তু আছে! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আপনারা একবার অবশ্যই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করবেন যে, আপনাদের নামের তালিকা বার কাউন্সিলে পাঠিয়েছে কিনা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ। আপনারা জানেন যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন বিভাগকে একটি তালিকা পাঠিয়ে দিতে হয় বার কাউন্সিলে, যে তালিকার ভিত্তিতেই আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে যথেষ্ট্ প্রমাণ যোগাড় করুন যে, তাদের পাঠানো তালিকায় আপনার নাম ঠিকমতো গেছে কিনা। তাদেরকে খানিকটা চাপের ওপর রাখুন। নইলে শেষমুহূর্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন নাকি রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংক্রান্ত দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবেন? রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে ‘শুভস্য শীঘ্রম’ হবেন দয়া করে!

আগামী পরীক্ষার্থীগণ তাহলে এখনই প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। আমার একটি বেসিক ও সংক্ষিপ্ত পরামর্শ হলো – প্রথমে একদফা পুরো বার কাউন্সিলের কোর্সের সব সাবজেক্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। এই পড়াটা আপনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকে অনেক শক্তিশালী করবে। আর শেষ সময়ে যদি প্রথমবারের মতো  প্রস্তুতি নেন, তাহলে কিন্তু বেশ বিপদেই পড়বেন। 

বার কাউন্সিল প্রস্তুতি নিতে আমাদের অনলাইনে সামান্য সময় দিয়ে দেখুন – আশা করি সবচে মোক্ষম প্রস্তুতি নিতে পারবেন। নিয়মিত মডেল টেস্ট অনুশীলন করতে পারবেন ঘরে বসেই। সাথে আছে আমাদের প্রকাশিক খুবই জনপ্রিয় বই ‘একটি চিরুনি অভিযান’। হোম পেইজ ঘুরে বিস্তারিত জানুন। না হলে নিচের লিংকগুলো পড়ুন। 

চাইলে ফ্রি একাউন্ট খুলেও সীমিত পরিসরে সুবিধা নিতে পারেন। না পোষাইলে পেইড একাউন্ট নিয়ে কোমর বেধে নেমে পড়ুন বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিশ্চিত সাফল্যের অভিযানে!



বাংলা ট্রিবিউনের নিউজটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো নিচে।
“নতুন বছরের শুরুতেই আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

আগামী বছরের শুরুতেই আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির নতুন পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আইন পেশায় নিযুক্ত হতে হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হয়। আইন বিষয়ে স্নাতক শেষে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়েই শিক্ষানবিস আইনজীবীরা এই ‘অ্যাডভোকেটশীপ’ লাইসেন্স পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রিলিমিনারি শুরুর পর শেষ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এই পরীক্ষা শেষে হাইকোর্টের নতুন আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ বছর আর নতুন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, আগামী বছর জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

বার কাউন্সিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪ হাজার ২শ জন। সেখান থেকে ১১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ৮ হাজার ১৩০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। বিশাল সংখ্যার এই পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা বর্তমানে চলমান রয়েছে। সে অনুসারে লিখিত পরীক্ষার ২৬ হাজার ৭০ জন আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় বাদ পড়েন। তবে এদের সঙ্গে নতুন পরীক্ষায় আরও কয়েক হাজার আবেদনকারী যুক্ত হবেন বলে জানালেও নতুনদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত মোট পরীক্ষার্থীর ঠিক সংখ্যা  জানাতে পারেনি সংস্থাটি।

তবে নতুন পর্বের পরীক্ষা নিয়ে বার কাউন্সিলের অধীনে থাকা কমিটিগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন কমিটির ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।

আওয়ামী লীগের এই আইন সম্পাদক আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা নতুন প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা নিতে সক্ষম হবো। আশা করছি আমরা পারবো। ’

বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা মূলত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে একজন শিক্ষানবিস আইনজীবীকে প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর প্রিলিমিনারিতে যারা উত্তীর্ণ হন, তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সর্বশেষ ধাপ হিসেবে মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্যরা আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন। তবে, যারা লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তারা পরবর্তী পরীক্ষায় একবারের জন্য মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান।”